স্কটিশ অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলি আর্টস অ্যান্ড সংস্কৃতি হেরিটেজ ‘সাবাশ্’–এর উদ্যোগে স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবরায় ২০১৪ তে শুরু হয় দুর্গোৎসব।
ব্রিটেনের দুর্গাপুজো বেশ পুরনো হলেও স্কটল্যান্ড–এর পুজো এদের কাছে নবীন তবু তাদের আন্তরিকতার জুরি মেলা ভার।
এখানে পুজো অনুষ্ঠিত হয় আড়ম্বরের সঙ্গে। বনেদিয়ানা জমিদারি সাবেকি প্রথার প্রাচুর্য ছাড়িয়ে কুমারটুলির একচালের প্রতিমা এডিনবরার পুজোমণ্ডপে অধিষ্ঠিত। বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের এক মেলবন্ধন চোখে পড়ে সাবাশ্–এর দুর্গোৎসবে। বাঙালিদের পাশাপাশি অবাঙালিদের সংখ্যাও এখানে নেহাত কম নয়। কর্মব্যস্ত জীবন ফেলে প্রত্যেকেই পুজোর বিশেষ অঙ্গ হয়ে ওঠেন।
বিদেশের বেশিরভাগ দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হয় সপ্তাহান্তের ছুটিতে কিন্তু প্রতিবছরই এডিনবরার দুর্গাপুজোর শুরু থেকে সমাপ্তি হয় পঞ্জিকানুসারে। বোধন, চণ্ডীপাঠ, অষ্টমীর অঞ্জলি, সন্ধিপূজা হয়ে নবমীতে কুমারী পূজা এবং সবশেষে মায়ের বিদায় বেলার সমস্তটাই সম্পন্ন হয় চিরাচরিত রীতিনিয়মে। সিঁদুর খেলা, মিষ্টিমুখের পালাও চলে রীতি মেনে।
এডিনবরার এবারের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ তাদের থিমের ভাবনা। মণ্ডপ হয়ে উঠেছে বাংলার ছোট্ট একটা গ্রাম। শহরের কংক্রিটের জীবন ছেড়ে সবুজের প্রাণখোলা এক পরিবেশে সেজেছে এডিনবরার পুজো প্রাঙ্গণ। পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মণ্ডপ সাজানোর সামগ্রী আনা হয়েছে কলকাতা থেকে। বলাবাহুল্য, পুজো কমিটির প্রত্যেক সদস্য সুস্পষ্টভাবে তাদের কাজটিকে ফুটিয়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন–এর প্রেসিডেন্ট নিজে রয়েছেন তত্ত্বাবধানে। সূদুর স্কটল্যান্ডে দেবী বরণে রয়েছে নিপুনতার ছোঁয়া।