উৎসবের সকলের জন্য। সেখানে আনন্দ করার অধিকার সকলের। এখানে জাতি-ধর্মের বাধা জাল না থাকাই কাম্য। তবে এদেশ কিছুটা অন্য চিত্র দেখছে। হিন্দু হলেই উৎসবে প্রবেশ করতে পারবে এমনই ফতেয়া জারি করেছে বজরঙ্গ দল। গড়বা ও ডান্ডিয়া খেলার উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বজরঙ্গ দলের পক্ষ থেকে মিডিয়া কনভেনার এস কৈলাশ ফতোয়া জারি করে বলেছেন, আধার কার্ড না দেখে কাউকে গড়বা ও ডান্ডিয়ার জায়গায় যেন প্রবেশ করতে দেওয়া না হয়। তাঁদের দাবি, এই ধরণের অনুষ্ঠানে হিন্দু ছাড়া কারও প্রবেশাধিকার নেই। তাই এই নিয়ম মানতেই হবে।
দীর্ঘদিন ধরে নবরাত্রির এই সময় গড়বা ও ডান্ডিয়া খেলার রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু এই ধরণের কোনও ফতোয়া দিতে হয়নি। এবার তবে কেন? এস কৈলাশের কথায়, ‘হিন্দু নয় এরকম কাউকে গরবা বা ডান্ডিয়া অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাই উদ্যোক্তাদের আমরা আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করতে বলেছি। অনুষ্ঠান যেখানে হবে তার গেটে আধার কার্ড দেখিয়েই ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার কথা বলেছি আমরা। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য যে বাউন্সারদের নিয়োগ করা হবে তাঁরাও যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের হন, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।’
তবে এবছর অবশ্য উৎসবের আনন্দ এখনই বেশ ফিকে। আর তার রেশ বেশ চোখে পড়ছে গুজরাটে। দেশেরর অর্থিক মন্দার প্রভাবে গুজরাতের সুরাটে ১০দিন ধরে যে নবরাত্রি উৎসব চলে তাতে বিনিয়োগ এক ধাক্কায় ১৫ কোটি টাকা থেকে নেমে হয়েছে ৫ কোটি। দেশের এই মন্দার বাজারে বেশ ধাক্কা খেয়েছে সুরাটের হিরে, বস্ত্র, আবাসন সহ একগুচ্ছ ব্যবসা। আর তার জেরেই এত বছরে প্রথমবার সুরাট মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ইন্ডোর স্টেডিয়াম রইল খালি।