দুর্গা পুজোর উদ্বোধন শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রথমেই হাতিবাগান সর্বজনীনে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। এটি ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের পুজো হিসাবেই বিখ্যাত। এই বছর প্রথম তাঁর পুজো দিয়ে শারদ উৎসবের সূচনা করলেন মমতা।
এদিন বিকালে হাতিবাগান সর্বজনীনের পর চালতাবাগানের পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান। তারপর যান হিন্দুস্থান পার্কের পুজো উদ্বোধনে। সকলকে শারদ শুভেচ্ছা জানিয়ে মমতা বলেন, সকলে আনন্দে পুজো কাটান। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/944325362626815/
এদিন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পুজোর কটা দিন সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। মহালয়ার একদিন আগে অর্থাৎ পিতৃপক্ষেই পুজো উদ্বোধনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। এদিন, সেসব প্রশ্নের উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘কাল থেকে আমার প্রচুর প্রোগ্রাম। আর হয়তো আসতে পারব না। তাই আজ থেকেই শুরু করে দিলাম’। এদিন, স্বভাববিরুদ্ধভাবে মমতার গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর। নিজের কর্মব্যস্ততার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘আমাদের জীবনে ছুটি বলে কিছু নেই। জীবনে এক ঘণ্টাও ছুটি পায়নি কোনওদিন। ছুটির দিনও আপনাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা খবর নিতে হয় আপনাদের। তবে আমি মনে করি, আমাদের ছুটি নেওয়ার কোনও জায়গাও নেই। একদিন হয়তো ছুটি পাব, সেদিন হয়তো আমি থাকব না’।
সাধারণত, পুজো উদ্বোধনে গেলে চণ্ডীপাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, এদিন তিনি নিজের মুখেই বলেন, ‘আজ আমি চণ্ডী মন্ত্র পড়ব না। কারণ, আমিও ধর্ম মানি। আমাদের মতো করে মানি। আমাদের ধর্ম লোকদেখানো নয়। পিতৃপক্ষে পুজো মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে আমি চণ্ডীপাঠ করব না। ওটা আমাদের কাল থেকে শুরু হবে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পুজো মণ্ডপে গিয়ে রাজনীতির প্রসঙ্গ পুরোপুরি এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, বাংলার বাইরের বিভিন্ন রাজ্য-সহ প্রায় ১০ হাজার পুজো কমিটি মমতাকে উদ্বোধনে চেয়েছেন। তার মধ্যে বাংলা থেকে ৩ হাজার আমন্ত্রণ এসেছে তাঁর কাছে। এর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের গ্রিভান্স সেলের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করেও পুজো উদ্বোধনে অনুরোধ জানিয়েছেন অনেকে। তাই গতবছর মুখ্যমন্ত্রী ৭৫টি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেও, এ বছর সেই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে।