এবার বন্ধ হতে চলেছে জিনট্যাকের বিক্রি। বাঙালির ঘরে ঘরে পরিচিত জিনট্যাকে ক্যানসারের আতঙ্ক। এই র্যানিটিডিনেরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রিত ব্র্যান্ড হল জিনট্যাক। বহুল ব্যবহৃত এই ওষুধের প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের তরফে বিবৃতি দিয়ে আপাতত জিনট্যাকের বিক্রি বন্ধের কথা জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই র্যানিটিডিন সম্পর্কিত সতর্কতা জারি করেছিল মার্কিন ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। পেটের সমস্যার জন্য বহুল ব্যবহৃত ওষুধ র্যানিটিডিন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামেই এই ওষুধ বিক্রি হয়ে থাকে। তার মধ্যেই বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রিত ব্র্যান্ড হল জিনট্যাক। শুধু ভারতেই ৬৮৮.৬ কোটির ব্যবসা রয়েছে র্যানিটিডিনের।
রিপোর্ট অনুযায়ী, র্যানিটিডিনে অল্প সংখ্যায় এনডিএমএ-র খোঁজ মেলে। এই এনডিএমএ থেকে ক্যানসারের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও মার্কিন ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে এখনও র্যানিটিডিনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি।
এদিকে, জিনট্যাক ছাড়াও র্যানিটিডিন জাতীয় আরও ব্যবহৃত ওষুধ হল- র্যানটাক ও র্যানটাক-ওডি। জে বি কেমিক্যালস, জাইডাস এবং টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এই ওষুধ বিক্রি করে থাকে। তবে তারাও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের পথে হাঁটবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।