মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে বাংলার দুর্গাপুজোকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোকমিটিগুলিকে অনুদান থেকে শুরু করে দুর্গা কার্নিভাল, শারদোৎসবকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব রূপে তুলে ধরতে কোনও কসুর করেননি তিনি। প্রায় প্রতি বছরই, মহালয়ার আগের দিন থেকেই এক-এক করে রাজ্যের বড় পুজোগুলির উদ্বোধন করতে দেখা যায় তাঁকে। এবারও সেই ধারা বজায় রেখেই আগামীকাল, শুক্রবার থেকেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু করছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, এবার বাংলার বাইরের বিভিন্ন রাজ্য-সহ প্রায় ১০ হাজার পুজো কমিটি মমতাকে উদ্বোধনে চেয়েছেন। তার মধ্যে বাংলা থেকে ৩ হাজার আমন্ত্রণ এসেছে তাঁর কাছে। তাই গতব বছর মুখ্যমন্ত্রী ৭৫টি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেও, এ বছর সেই সংখ্যাটা বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই যে সব পুজো তিনি উদ্বোধন করবেন, উদ্যোক্তাদের কাছে তাঁর চিঠি পৌঁছে গেছে। মহালয়ার আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টির পুজো, হাতিবাগান সর্বজনীন ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হিন্দুস্থান পার্কের পুজো উদ্বোধন করবেন।
তারপর শনিবার, মহালয়ার দিন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণী ক্লাবের প্রতিমার চক্ষুদান করবেন মমতা। ওইদিন ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যার প্রকাশ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। এরপর রবিবার বালিগঞ্জ ফাঁড়ি ২১-এর পল্লীর মণ্ডপে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সোমবার যাবেন ত্রিধারার পুজোয়। নাকতলা উদয়ন ও একডালিয়া এভারগ্রিনের প্রতিমারও উদ্বোধন করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের মণ্ডপে এসে উদ্বোধন করবেন, উদ্যোক্তারা এই খবর পাওয়ার পরই ক্লাব সদস্যদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে গিয়ে চণ্ডীপাঠও করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মতো এ বছরও বিভিন্ন পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি ক্লাবগুলোর অনুদান বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেন। মহিলা পরিচালিত পুজো কমিটিগুলি অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকা পাবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ওইদিন তিনি এমনও নির্দেশ দেন যে, এবার কোনও ভিআইপি কার্ড হবে না। উদ্যোক্তারা তাঁর নির্দেশ মেনে ‘ক্লাব ইনভাইটি’ কার্ড ছাপিয়ে ফেলেছেন। একটি কার্ডে ৪ জন মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবে।