মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বাংলার হাল ধরার পরে বাংলার শিল্পে জোয়ার এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার উদ্যোগেই বাম আমলের তুলনায় অনেক ভালো আছেন হস্তশিল্পীরা। এবার দেশের গণ্ডী পেরিয়ে বিদেশেও সমাদৃত হচ্ছে বাংলার হস্তশিল্প।
রাজ্যের অর্থ ও শিল্পমন্ত্রী ড. অমিত মিত্র এক আলোচনাচক্রে জানিয়েছেন, বাংলার কারুশিল্পীদের হাতের কাজ দেশ-বিদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিদেশী পর্যটকেরা এ রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে তাঁদের তৈরী সামগ্রী কিনছেন। বাংলার ডোকরা, পটচিত্র, মাদুর, কাঠের মুখোশ, টেরাকোটা, ছৌ মুখোশ জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন পেয়েছে। কাঁথা শিল্প, কাঠ ও মাটির পুতুল, শীতলপাটি জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায় রয়েছে, জানিয়েছেন অমিত মিত্র।
অমিত আরও জানিয়েছেন, “১৫টি জেলায় হাব করা হয়েছে। ১ লক্ষ ২০ হাজার পর্যটক এসব জায়গায় ঘুরে নানা জিনিস কিনেছেন। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তাঁদের উদ্বুদ্ধ করেছে। এখন ২৫ হাজার শিল্পী কাজ করেন। ভবিষ্যতে ১ লক্ষ শিল্পী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন। এখন শিল্পীদের জীবনধারাও বদলে গেছে । আগে তাঁদের গড় মাসিক আয় ছিল ৫০০ টাকা । এখন সেটা ১৫ গুণ বেড়ে ৭হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে। বছরে শিল্পীদের টার্নওভার ১০০ কোটি টাকা। ইউনেস্কো সবধরনের সহযোগিতা করছে”।
তিনি আরোও বলেন, মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের সংখ্যাও এ রাজ্যে বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাদ্ধ্যায় এই শিল্পীদের মাসে ১হাজার টাকা করে ভাতা দিচ্ছেন। বাউল শিল্পীরা ২টাকা কিলো দরে চাল পাচ্ছেন।