যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে রীতিমতো ‘মেরুদণ্ডহীন’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। যা নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্ক উসকে উঠল।
আসানসোলে পৌঁছলে যাদবপুরের ঘটনায় তাঁকে খুব নির্দিষ্ট করেই প্রশ্ন করা হয় যে, সেদিন গন্ডগোলের পর উপাচার্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রাজ্যপাল যখন তাঁকে দেখতে যান, তখন হাসপাতালের বিছানা ছেড়ে উঠতে না পারলেও, পরবর্তী সময়ে শিক্ষামন্ত্রীকে দেখে উঠে বসেন উপাচার্য। এনিয়ে বাবুলের কী বক্তব্য? এই প্রশ্ন শুনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় উত্তরে বলেন, ‘উনি রাজ্যের একটি রাজনৈতিক দল দ্বারা পরিচালিত উপাচার্য। তাই হুজুরকে দেখে উঠে দাঁড়িয়েছেন। তিনি খুব শিক্ষিত হলেও মেরুদণ্ড একেবারেই শূন্য। আত্মসম্মান নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে উনি যথাযথ ব্যক্তি নন।’ এপ্রসঙ্গে বাবুল আরও বলেন, ”আমি তো আগেই ওনাকে বলেছিলাম, ‘পার্থবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে তো আপনি গেটে দাঁড়িয়ে থাকেন। তো আমার সময়ে এমন অবস্থা কেন?’ উনি আমাকে জানাতে পারতেন যে ক্যাম্পাসে এমন ধুন্ধুমার হলেও, তিনি পুলিশ ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেবেন না। আমি তো ওখানে রাজনীত করতে যাইনি।
‘
গত বৃহস্পতিবার এবিভিপির একটি অনুষ্ঠানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাবুল সুপ্রিয়। একদল পড়ুয়া তাঁকে গেটেই আটকে দেয়। তা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। সমস্যা গড়ায় রাজভবন পর্যন্ত। রাজ্যপাল পৌঁছে যান ক্যাম্পাসে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। এনিয়ে পরবর্তী সময়ে এসএফআই-এবিভিপির মিছিল, পালটা মিছিলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। আসানসোলও এর বাইরে রইল না। বিশেষত তা যখন বাবুল সুপ্রিয়রই নির্বাচনী কেন্দ্র। সেখানে গিয়েই যাদবপুরের উপাচার্যের বিরুদ্ধে একেবারে সুর চড়ালেন তিনি। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল।
