ছোট শিশুকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে বাঘ শিকার করেছিলেন রাজাবাহাদুর। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘টোপ’ গল্পটা আমাদের অনেকেরই জানা। কিন্তু জানেন কি বাস্তবেও এমন নজির রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে গল্পের থেকে কিছুটা পার্থক্য আছে বৈকি। সেটা ছিল বাঘের টোপ আর এটা কুমিরের। টোপ!
একসময় কৃষ্ণাঙ্গদের ক্রীতদাস বানিয়ে রাখত আমেরিকার মানুষ। নিজেদের বিলাসিতার উপাদান করে তোলা হত তাঁদের। তখনই কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের টোপ হিসাবে ব্যবহার করতেন তাঁরা। ছোট শিশুগুলোকে টোপ করে কুমির শিকার করতেন।
কুমির শিকার করাটা সহজ ছিল না। অন্ধকারে জলে নেমে কুমির শিকার করতে গিয়ে প্রায়শই প্রাণহানি ঘটত শ্বেতাঙ্গদের। তাই কুমির শিকারের সহজ পন্থা টোপ দিয়ে কুমিরকেই ডাঙায় তোলা। তারপর আড়াল থেকে গুলি করে কুমিরকে ঘায়েল করা। আর এই টোপ হিসাবেই ব্যবহার করা হত কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের। একে বলা হয় ‘অ্যালিগেটর বেট’ বা ‘গেটর বেট’। কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের কোনও মূল্য তাঁদের সমাজে ছিল না। সে কারণে কৃষ্ণাঙ্গ শিশুগুলোকেই বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা। কুমির শিশুগুলোকে আক্রমণ করলেই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হত তার শরীর। কখনও আবার অপেক্ষা করা হত শিকার খাওয়ার। কারণ খাওয়ার সময় কুমিরের মনোযোগ শিকারের উপরই থাকে, তাতে মারতেও সুবিধা হত।