গত বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে সন্ধ্যার পর থেকেই গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে রীতিমতো তান্ডব চালায় এবিভিপি। ভাঙচুর চলে ছাত্র সংসদের ইউনিয়ন রুম থেকে শুরু করে অন্যান্য দফতরে। আগুন লাগানো হয় সাইকেল, কম্পিউটার-সহ একাধিক জিনিসে। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর শত অনুরোধের পরেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় যেভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা ঘটনায় নিজেকে ‘জড়িয়েছিলেন’ এবং পরিস্থিতি আরও ঘোরালো করে তুলেছিলেন— তাকে মোটেই ভাল চোখে দেখেনি নবান্ন। সংঘাত বেধেছিল শাসক দলের সঙ্গেও। তবে কেন তিনি যাদবপুর গিয়েছিলেন, গত কয়েক দিনে দফায় দফায় সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন ধনকড়। এবার সরাসরিই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন তিনি।
সোমবার একটি বণিক সভার অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুবই দয়ালু ও নরম মনের মানুষ। আমরা দু’জনেই শপথ নিয়েছি সংবিধান রক্ষা করে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার ও রাজ্যকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করার।’ মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রাজভবনের যে কোনও সংঘাত নেই, সেই বার্তাই গতকাল দিতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। শুধু তাই নয়। এর পাশাপাশি মমতার সৌজন্যেরও প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার স্ত্রীকে তাঁর রুচি অনুযায়ী শাড়ি উপহার দিয়েছেন। ওঁর সঙ্গে আমার চেনাশোনা অনেক দিনের।’ ধনকড় জানান, এর মধ্যে একটি সাক্ষাতকারে তিনি মমতাকে মনে করিয়ে দেন ৩০ বছর আগের কথা। তাঁর কথায়, ‘আমি তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মমতা মাথায় চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কলকাতায় ছিলাম, হাসপাতালে ওঁকে দেখতে গিয়েছিলাম।’