অমিত শুক্রবার দুপুরে রাশিয়ার মাটিতে যেটা করলেন, তা ভারতীয় বক্সিং কখনও দেখেনি। সেমিফাইনালে তীব্র লড়াইয়ের পরে অমিত ৩-২ হারিয়ে দেন কাজাখস্তানের সাকেন বিবোসিনভকে। আজ, শনিবার ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বী উজবেকিস্তানের সাখোবিদিন জোরভ।
ভারতীয় বক্সিংয়ে নতুন ইতিহাস তৈরির পরে রাশিয়ার একতারিনবুর্গে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া দূরে থাক, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নেমে সোনা জিততে মরিয়া অমিত পাঙ্ঘাল একটা লড়াই শেষ করেই যে ফের নেমে পড়েছিলেন অনুশীলনে। তিনি বলেছেন, “আমি তো জওয়ান। একটা যুদ্ধে জেতার পরে প্রস্তুতি নিই পরের যুদ্ধ জেতার জন্য। সেটাই করছিলাম। ইতিহাস গড়েছি, রুপো জিতেছি, ভাল লাগছে। দুর্দান্ত অনুভূতি। কিন্তু আমার স্বপ্ন তো ফাইনাল জিতে সোনা জয়”।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কথা বলার সময় ভারতীয় বক্সিংয়ের বিস্ময় প্রতিভার গলায় ধরা পড়ে জেদ, একাগ্রতা। সেনা জওয়ানদের যা মজ্জাগত। ছাত্রকে পাটিয়ালার শিবিরে দিনের পর দিন আরও আগ্রাসী করে তুলেছেন যিনি, সেই কোচ কুটাপ্পা বলছিলেন, ‘‘বক্সিং রিং-এ অমিত প্রচণ্ড চতুর। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে লড়তে চায় না। রুপো নিশ্চিত করার পরে আমাকে বলল, চলুন কালকের ফাইনালের প্রতিদ্বন্দ্বীকে কোথায় মারতে হবে, তা দেখিয়ে দেবেন।’’
হরিয়ানার রোহতক জেলার মায়ানা গ্রামের কৃষক পরিবারে জন্ম অমিতের। চৌধরি বিজেন্দ্র সিংহ পাঙ্ঘালের দুই ছেলের মধ্যে ছোট অমিত। দাদা অজয় বক্সার ছিলেন। তিনিই অমিতকে নিয়ে আসেন নিজের খেলায়। ২০০৭ সালে ছোট্টুরাম বক্সিং অ্যাকাডেমিতে ভর্তি করে দেন বারো বছরের অমিতকে। জাতীয় প্রতিযোগিতায় প্রথমবার নেমেই চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম পদক ২০১৭ এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপে। ব্রোঞ্জ জেতেন। ২০১৮ সালে জোড়া পদক। জাকার্তা এশিয়াডে সোনা এবং কমনওয়েলথ গেমসে রুপো।