নিজেদের ঘরের মাঠে নিউ ব্যারাকপুরের দল রেনবো এফসিকে হারিয়ে ফের লীগের লড়াইয়ে ফিরে এল ইস্টবেঙ্গল। এদিনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেনাল্টি থেকে করা মার্কোসের একমাত্র গোলে জয় পেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট তালিকায় পিয়ারলেসকে ছুঁয়ে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। এক ম্যাচ বেশি খেললেও লিগ তালিকার শীর্ষে আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজের দল।
এ দিন ঘরের মাঠে প্রথম থেকেই জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কাদামাঠে আক্রমণ তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছিল। তারমধ্যেই কিছু আক্রমণ তৈরি করেন জুয়ান মেরা, পিন্টু মাহাতোর। কিন্তু রেনবো-র গোলের নীচে সজাগ ছিলেন অঙ্কুর। ফলে গোল আসছিল না। অন্যদিকে ফেলিক্স চিডি, অ্যামোবিরা দু-একটা সুযোগ তৈরি করলেও গোল আসেনি লাল-হলুদের দুর্ভেদ্য ডিফেন্স লাইনের সৌজন্যে।
এর মধ্যেই ৩৫ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গল স্ট্রাইকার রোনাল্ডো অলিভিয়েরাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে রেনবো ডিফেন্ডার। যার ফলে পেনাল্টি পায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। ঠান্ডা মাথায় গোলকিপারের ডান দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মার্কোস এসপাদা। দু’মিনিট পরেই পিন্টুর জোরালো হেড দারুণ দক্ষতায় বাঁচান রেনবো গোলকিপার অঙ্কুর। তারপর প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানেই মাঠ ছাড়ে এদিনের দু’দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে হাইমে কোলাডোকে নামান কোচ আলেহান্দ্রো। অন্যদিকে গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে রেনবোও। পল্টু দাস, অভিজিৎ সরকাররা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকেন। তবে এ দিনও গোলের নীচে ভালো খেললেন ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার রালতেও। বেশ কিছু ভালো সেভ করেন তিনি। ৭০ মিনিটের মাথায় অ্যামোবির শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। এরপর আর গোল আসেনি। শেষ অবধি ১-০ ব্যবধানেই ম্যাচ জেতে ইস্টবেঙ্গল।
এই জয়ের ফলে ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট হল ইস্টবেঙ্গলের। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট পিয়ারলেসের। ক্রোমারা এক ম্যাচ কম খেললেও এখনও কাস্টমস, জর্জ টেলিগ্রাফের মতো দলের বিরুদ্ধে খেলা বাকি তাঁদের। সেখানে পয়েন্ট নষ্ট করলেই লিগ জয়ের দরজা খুলে যাবে ইস্টবেঙ্গলের সামনে। তাই এখন নিজেদের ম্যাচের পাশাপাশি লাল হলুদ সমর্থকদের চোখ থাকবে পিয়ারলেসের দিকেও।