বিগত লোকসভা নির্বাচনের শেষদফা ভোটের ঠিক আগেই কলকাতায় বিজেপির রোড শো’কে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা ইউনিভার্সিটি ও বিদ্যাসাগর কলেজ ক্যাম্পাস। গেরুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল কলেজের ভেতর থাকা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার। বৃহস্পতিবার ফের সেই শিক্ষাঙ্গনেই সন্ত্রাস চালিয়েছে তারা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে সন্ধ্যার পর থেকেই গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে রীতিমতো তান্ডব চালায় এবিভিপি। ভাঙচুর চলে এসএফআইয়ের ইউনিয়ন রুম থেকে শুরু করে অন্যান্য দফতরে। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হল সাইকেল, কম্পিউটার-সহ একাধিক জিনিসে। এই ঘটনায় ফের একবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
বরাবরই উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জন্য তিনি জনপ্রিয়। এবারেও সেই উস্কানি দিলেন তিনি। প্রতিবাদ মিছিল থেকে প্রথমে বললেন, ‘গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয়েছে। আমরা তার প্রতিবাদ করছি।’ সায়ন্তন আরও বলেন, ‘আমার তো মনে হয় আরও মারধর করা উচিত ছিল। রাস্তায় ফেলে পেটানো উচিত ছিল যাদবপুরের পড়ুয়াদের। কাল সেটা হয়নি। আজ থেকে শুরু হবে। যাদবপুরের পড়ুয়াদের এবার পেটানো শুরু হবে।’ মিছিলের অগ্রভাবে ছিলেন অপর বিজেপি নেতারাও। তাঁরা বলেন, তৃণমূল, নকশাল সিপিএম সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্র করে বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ করেছেন। এমনটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই প্রতিবাদে নেমেছে রাজ্য বিজেপি।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার নানা রকম বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সায়ন্তন। তবে আজ যেভাবে ছাত্রদের পেটানোতে মদত দিলেন প্রকাশ্যে, তা সত্যিই নজিরবিহীন। তাঁর এরকম মন্তব্য চাউর হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।