মাসকয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গিয়েছিল হিমাচল প্রদেশের কুলুর এক বিজেপি নেতার কুকীর্তি৷ ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছিল, দলীয় কর্মী রিনা ঠাকুরের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মত্ত বিজেপি যুব মোর্চার নেতা উপেন পন্ডিত। আর এবার ধর্ষণে অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দ স্বামীর গ্রেফতারির দিনেই সামনে এল আরেক বিজেপি নেতার কীর্তি।
ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওয় দেখা গেল, স্ত্রীকে চড় মারছেন ‘বীরপুঙ্গব’ বিজেপি নেতা। আর ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লীতে, খোদ বিজেপির সদর দফতরেই। তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই কোনও তদন্তও শুরু করেনি পুলিশ। যদিও বিতর্ক সৃষ্টির হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি কমিটি গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন দিল্লীর বিজেপি সভাপতি মনোজ বাজপেয়ী। পাশাপাশি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারও করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা আজাদ সিং। ২০১৯ সালে দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা প্রকাশ জাভড়েকর নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। সেই বৈঠকের পর বাইরে বেরিয়েই স্ত্রী ও দক্ষিণ দিল্লীর প্রাক্তন মেয়র সরিতা চৌধুরির সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আজাদ। আর সে সময়ই দিল্লীর মেহরাউলি জেলার ওই কার্যকরী সভাপতি স্ত্রীকে সপাটে চড় মারেন বলে অভিযোগ।
সেই সময়ে তোলা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন মানুষ পাঁচিল ঘেরা জায়গায় একটি বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আচমকা এক মহিলার সঙ্গে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির ধাক্কাধাক্কি হচ্ছে। এরপর দেখা যাচ্ছে ওই মহিলাটিকে আশপাশে থাকা মানুষরা দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই ব্যক্তিটি যে আজাদ সিং এবং তাঁর সঙ্গে বচসাকারী মহিলাই সরিতা সিং ভিডিওটি দেখে সে কথাই বলছেন সকলে।
দিল্লীর কয়েকজন বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই গন্ডগোল চলছিল ওই দম্পতির মধ্যে। তাঁরা একসঙ্গে থাকছিলেনও না। কিছুদিন আগে আজাদ সিং বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও দায়ের করেছেন। এর মাঝেই এই ঘটনা ঘটে গেল। অন্যদিকে বিতর্ক শুরু হতেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আজাদ সিং। উলটে তাঁর দাবি, স্ত্রী প্রথমে তাঁকে হেনস্তা করছিল বলেই নিজেকে বাঁচানোর জন্য তিনি হালকা ধাক্কা দিয়েছেন।