আসামের পরই এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলার বিভিন্ন জেলায়। নথি সংশোধনের জন্য জেলায় জেলায় উপচে পড়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়। আজ ভোরে এনআরসি নিয়ে আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন ময়নাগুড়ির এক ব্যক্তি। তারমধ্যেই জেলায় জেলায় চলছে নথি সংশোধনের কাজ। আর এবার বিডিও অফিসে সেই নথি সংশোধনের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এদিন সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট বিডিও অফিসে।
বাংলায় এনআরসি হলে কী হতে পারে, সেই আতঙ্ক ইতিমধ্যেই গ্রাস করেছে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। নথিপত্রের যা ভুলত্রুটি আছে সেসব সংশোধনে তৎপর হয়ে উঠেছেন তাঁরা। প্রশাসনের তরফেও শুরু করা হয়েছে নথি সংশোধনের কাজ। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতোই বালুরঘাট বিডিও অফিসেও নথি সংশোধনের কাজ চলছিল। শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকেই বালুরঘাট বিডিও অফিসে সেই নথি সংশোধনের লাইনে দাঁড়ান এলাকার একাধিক বাসিন্দা। বেলা ১১ টা নাগাদ হঠাৎই লাইনে দাঁড়ানো এক ব্যক্তি অসুস্থ বোধ করেন। এরপর আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
কয়েকদিন আগেই আসামের নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম। বাংলাতেও এনআরসি হবে বলে একাধিকবার জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ফলে আতঙ্ক বেড়েছে এরাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া বাসিন্দাদের। কী হবে ভেবেই ঘুম হারিয়েছেন অনেকে। এনআরসি’র জুজুতে রাত থেকেই ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডের সংশোধনীর লাইনে দাঁড়াচ্ছেন মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল প্রশাসনও। কিন্তু এর ভবিষ্যৎ কি? সেটা ভেবেই দিশেহারা রাজ্যবাসী।