কেটে গিয়েছে ১১ দিন। চোখের সামনে নিজের বাড়ি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ার মত দৃশ্যকে ধীরে ধীরে মেনে নিচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। ছন্দে ফেরার মধ্যেই ফের বিপর্যয়। নতুন করে আরও পাঁচটি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। তড়িঘড়ি ৯২ সি, ৯৩/১ এ, ১০৫, ১০৩ এবং ১০৬ নম্বর বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের পাঁচটি বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিল কেএমআরসিএল।
চলতি সপ্তাহে সেই কমিটি কেএমআরসিএল কে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের কয়েকটি বাড়ি বিপন্মুক্ত। সেই থেকে আশায় বুক বাঁধছেন বাসিন্দারা। ৯৩ বাই ১এ বড়ির মালিক শেখর ঘোষ তাঁর গোটা পরিবারের সঙ্গে রয়েছেন শিয়ালদহের একটি ছোট্ট হোটেলে। সেখানে কার্যত হাঁপিয়ে উঠছেন তাঁরা। কারন ইতিবাচক রিপোর্ট জমা পড়লেও এই পরিবারগুলিকে বাড়িতে ফেরানোর ব্যপারে এখনও কোনও পদক্ষেপ করছেন না কর্তৃপক্ষ। পুজোর আগে এই সব কটি বাড়ির মোট ৭৮ জন বাসিন্দা বাড়ি ফিরতে মরিয়া।
আজ নতুন করে যে বাড়ি গুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে তার মধ্যে আছে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী তাপস রায়ের ১০৫ নম্বর বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ফ্ল্যাটটিও। ফাটল কতটা বিপজ্জনক তা খতিয়ে দেখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিবপুর বেসুর অধ্যাপকদের নিয়ে এক বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে কেএমআরসিএল।