রাজনৈতিক বিরোধিতা সবসময় আছে, থাকবেও। কিন্তু তিনিই বড় রাজনীতিক, যিনি যে কোনও সময় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে স্বাভাবিক সৌজন্যবোধ, আবেগ দ্বারা নিজেকে চালিত করতে পারেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবসময়েই আমরা সেই ভূমিকায় দেখেছি। এবারও ব্যতিক্রম হল না। প্রশাসনিক আলোচনার জন্য দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এবারও তাঁর হাতে মমতা তুলে দিলেন উপহার। একটি কুর্তা। জন্মদিন পরের দিনই এই উপহার পেয়ে আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী।
রাজ্যের দাবি দাওয়া নিয়ে দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার যাওয়ার সময়ে তিনি বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘প্রশাসনিক বাধ্যবাধকতা থেকেই দিল্লী যাচ্ছি। রাজ্য-কেন্দ্র সমন্বয়ের মাধ্যমেই তো সব কাজ চলে।’ বুধবার বিকেলে নির্ধারিত সময়ের বৈঠকে দুজনের মধ্যে একাধিক বিষয় আলোচনা হয়েছে।
এসব ছাড়াও রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের একটা আন্তরিক সম্পর্কও আছে। তা বজায় রাখতে সদা তৎপর দুজনেই। পয়লা বৈশাখে বাংলার আম, কুর্তা উপহার পান মোদী। পুজোর সময়েও কুর্তা পৌঁছে যায় বাংলা থেকে দিল্লী। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দেখাসাক্ষাতের সময়েও উপহারের ডালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকেই।
এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭, লোককল্যাণ মার্গে পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কুর্তা তুলে দেন মোদীর হাতে। দেন হলুদ গোলাপ ফুলের তোড়াও। প্রধানমন্ত্রীও মমতাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য মঙ্গলবার দমদম বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যশোদাবেনের। তিনি বিমানবন্দরের বিশ্ব বাংলা স্টল থেকে যশোদাবেনকে একটি শাড়ি কিনে দেন। তাও এক সৌজন্যের নজির। এরপর আজকের এই উপহার। বোঝাই যাচ্ছে, রাজনীতি আর সৌজন্যবোধের পৃথক জায়গা একে অপরকে দিতে কখনও পিছপা হন না।