রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় বছর পর বহুচর্চিত সাক্ষাৎ ঘিরে জোর জল্পনা দেশের রাজনৈতিক মহলে। এর আগে ২০১৮ সালের ২৪ মে শান্তিনিকেতনে দু’জনের শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লী পৌঁছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বিকাল ৪টে নাগাদ ৭ লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে পৌঁছন তিনি। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ১ ঘণ্টার মতো আলোচনা হয়।
এরপর দিল্লীতে নিজের ১৮৪ সাউথ অ্যাভিনিউয়ের বাসভবনে ফিরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। দ্বিতীয়বার উনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দিল্লী আসা হয়নি। আসব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার কারণে তা হয়নি। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া ১৩,৫০০ কোটি টাকা নিয়ে বলেছি। এছাড়াও রাজ্যের নাম বাংলা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ওদের কোনও প্রস্তাব থাকলে, তা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি। পাশাপাশি দ্বিতীয় বৃহত্তম কোলব্লক বীরভূমের দেউচা পাচামি উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, যখনই তিনি দিল্লী আসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাই ‘আগামীকাল যদি সময় পাই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করব।’
মঙ্গলবার দিল্লী উড়ে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রাজ্যের স্বার্থেই তাঁর এবারের রাজধানী সফর। রাজ্যের নাম বদল, আর্থিক পাওনাগণ্ডা ছাড়াও আরও নানা প্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি ‘সুযোগ পেলে’, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্মীদের আশঙ্কা নিয়েও কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ীই এদিনের আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।