গত ৭ তারিখ মাঝরাতে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের ২.১ কিমি আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের সংযোগ। তার পর থেকেই চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের মরিয়া চেষ্টায় ইসরো। এমনকি তাদেরদিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরাও। প্রার্থনা করছে দেশবাসীও। তবে, উত্তর প্রদেশের মন্ডার রজনীকান্তের উৎসাহ যেন এই বিষয়ে একটু বেশিই। তাই জেদের বশে গত সোমবার ব্রিজের উপরের উঁচু অংশে চড়ে বসেন তিনি।
ব্রিজের মাথা থেকেই হাতে লেখা একটি চিঠি নিচে উৎসুক জনতার দিকে ছুড়ে দেন তিনি। সেই চিঠিতে লেখা,”আগে ইসরো বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করুক, তবেই নিচে নামব।” সারারাত তিরঙ্গা পতাকা ধরে ব্রিজের মাথায় বসে থাকেন তিনি। দমকলকর্মীদের অনুরোধ সত্ত্বেও নিচে নামতে চাননি রজনীকান্ত। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালেও নিচে নামেননি রজনীকান্ত।
বিক্রমের খোঁজে ইসরোর পাশাপাশি কোমর বেঁধে নেমেছে নাসাও। নাসার জেট প্রপালশান ল্যাবরেটরি থেকে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নাসার এক আধিকারিকের সূত্রে খবর, ইসরোর সঙ্গে আগের চুক্তির ভিত্তিতেই বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে নাসা।
ইসরো সূত্রে খবর, চলতি মাসের ২১ তারিখের মধ্যেই যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে বিক্রমের সঙ্গে। কারণ তত দিনই চাঁদের ওই অংশে দিন থাকবে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌরশক্তি ব্যবহার করেই কাজ করে বিক্রম। ফলে, অন্ধকার হয়ে গেলে আর যোগাযোগ স্থাপন করা যাবে না চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডারের সঙ্গে। আর সেই কারণেই ক্রমাগত বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানী ও প্রযু্ক্তিবিদরা। তবে এইদিকে জানা গেছে, এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ব্রিজের এই অংশে চড়ে বসেছিলেন রজনীকান্ত। সেই বার পরিবেশ রক্ষায় সরকারকে উদ্যোগ নিতে দাবি করেছিলেন তিনি।