ডিম আর দুধের জন্যই শহরে মুদ্রাস্ফীতির হার বাড়ছে বলে জানালেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘গ্রামের মানুষ দুধ বেশি কেনেন না। শহরের মানুষ কেনেন। ইদানীং সব রাজ্যেই দুধ আর ডিমের দাম কম বেশি বেড়েছে। তার ফলেই মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে’।
মজার ব্যাপার হল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর ডিম আর দুধকে শহরের মুদ্রাস্ফীতির কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন ঠিকই। কিন্তু কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রকের দেওয়া হিসেব বলছে, শাক সবজির দাম ৬.৯০ শতাংশ। সেই তুলনায় দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের দাম বেড়েছে ১.৪০ শতাংশ হারে। এ ছাড়া মশলাপাতি এবং ডালের দাম ৬.৯৪ শতাংশ হারে বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে। জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৩.১৫ শতাংশ। তা বেড়ে অগস্টে ৩.২১ শতাংশ হয়েছে। তবে দেখা যাচ্ছে শহরে মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি ৪.৪৯ শতাংশ। আর গ্রামে তা হল ২.১৮ শতাংশ। তবে দাম অনেকটাই কমেছে মাংস ও মাছের। মোটামুটি ভাবে ৮.১৫ শতাংশ হারে কমেছে।
এ দিকে গত সপ্তাহে আইএমএফ বলেছিল, ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশ যতদূর হবে ভাবা গিয়েছিল, বাস্তবে হচ্ছে তার চেয়ে কম। কার্যত আইএমএফের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এ দিন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসও বললেন, যা ভাবা গিয়েছিল, সেইমতো অর্থনীতির বিকাশ হচ্ছে না। তাঁর মতে, সুদ কমিয়ে চাহিদা বাড়াতে হবে।