ব্রাজিল অতি–আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে গিয়ে ডুবছে—এই মতবাদে বিশ্বাসীদের সংখ্যা বাড়ছিল। এ কারণেই দুঙ্গার মতো অতিরক্ষণাত্মক কোচের দ্বারস্থ হয়েছিল ব্রাজিল। দুঙ্গা আরও বেশি সর্বনাশ করেছেন। রক্ষণ সেই নড়বড়েই থেকেছে। উল্টো হারিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিলের ফুটবলের আসল নির্যাস। এ থেকে মুক্তি দিয়েছেন তিতে।
ম্যাচ হয়তো ফরোয়ার্ডরা জেতান, টুর্নামেন্ট জেতান ডিফেন্ডাররা। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের এই তত্ত্ব তিতেও জানেন। তিনি কোচ হয়ে আসার পর ব্রাজিলের ফুটবলে শুধু আক্রমণের রং এনে দেননি; ব্রাজিলের রক্ষণকেও করেছেন অটুট-অটল। তিতের অধীনে ব্রাজিল ২৫ ম্যাচে মাত্র ৬ গোল খেয়েছে। গোল হজমের হার মাত্র দশমিক ২৪। প্রতি চার ম্যাচে গড়ে একটি গোল খেয়েছে ব্রাজিল! তিতের ব্রাজিল যে গোল খায় না!
এই সময়কালে ব্রাজিল গোল কিন্তু করেছে বিস্তর। ২৫ ম্যাচে মোট গোল ৫৪টি! প্রতি ম্যাচে গোল দুইয়েরও বেশি! শুধু তা-ই নয়; ব্রাজিল এই ২৫ ম্যাচে মাত্র একটিতে হেরেছে। সেটিও প্রীতি ম্যাচে; আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। বাকি ম্যাচের ২০টিতে জয়, ৪টি ড্র।
বাছাই পর্বে ১২ ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল তাঁর অধীনে। এই ১২ ম্যাচে মাত্র তিনটি গোল হজম করেছে! এই ব্রাজিল রক্ষণেও দুর্দান্ত!