গত ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি পেয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের আগামী ছবি ‘গুমনামী’র টিজার। আর তারপর থেকেই চলছে বিতর্ক। প্রথমেই রণংদেহি মেজাজে আসরে নেমেছিলেন নেতাজি গবেষকদের একাংশ। তাদের তরফ থেকে সৃজিতকে পাঠানো হয়েছিল আইনি নোটিস। তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছিল নেতাজির পরিবারের সদস্য তথা অধ্যাপক সুগত বসুর তরফেও। তবে এবার বিপাকে পড়লেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যে ফরোয়ার্ড ব্লকের রাজ্য দফতরে গিয়ে সৃজিত লঞ্চ করেছিলেন গুমনামীর ট্রেলার এবার সেই ফরোয়ার্ড ব্লকই বিরোধিতা করল সৃজিতের। গুমনামী যাতে মুক্তি না পায় তার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা দেবব্রত রায়।এর আগে গত মাসেই মামলাকারী ফরওয়ার্ড ব্লকের এই নেতা ছবির প্রযোজক এবং পরিচালককে আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছিলেন।
মামলাকারীর আইনজীবী প্রদীপ রায় আদালতকে জানিয়েছেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অন্তর্ধান নিয়ে এখনও অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। মুখার্জি কমিশনও কোথাও বলেনি যে গুমনামি বাবাই নেতাজি। প্রধান বিচারপতি এ দিন ওই আবেদনের ভিত্তিতে আগামী শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্দিষ্ট করেছেন। এর আগে গত মাসের আইনি চিঠিতেও দেবব্রতবাবু ওই একই অভিযোগ তুলেছিলেন। প্রদীপবাবুর আবেদন, নেতাজির সঙ্গে ভারতের কোটি কোটি মানুষের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। ভারত সরকারও কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি যে গুমনামি বাবাই নেতাজি। গুমনামি বাবার কোনও ছবিও প্রকাশ করেনি সরকার। সেই পরিস্থিতিতে পরিচালক বা অভিনেতা কী ভাবে নিশ্চিত কোনও তথ্য না থাকা সত্ত্বেওএ বিষয়ে ছবি বানালেন বা অভিনয় করলেন?
প্রসঙ্গত, ‘গুমনামী’ নিয়ে হাজার বিতর্ক হলেও তাতে পাত্তাই দেননি সৃজিত। বরং বরাবরই জানিয়েছেন, আপত্তি এলেও তা শোনার প্রয়োজন বোধ করছেন না তিনি। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছবি তথ্য নির্ভর। এই মামলা প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, আমি এবং বুম্বাদা ছাড়াও রাজ্য সরকার, সেন্সর বোর্ডের কর্ণধার প্রসূন যোশী, মুখার্জি কমিশনের প্রধান বিচারক মনোজ মুখোপাধ্যায়,সবার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করেছেনওই ব্যক্তি। মনোজ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও যদি কেউ মামলা দায়ের করতে পারেন সে ক্ষেত্রে আমার আর কিছু বলার থাকে না। আইনের উপর আস্থা রয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”