লোকসভা নির্বাচনের পরে হিড়িক উঠেছিল রাজনৈতিক দলবদলের। ভোটের ফল দেখে এবং গেরুয়া বাহিনীর হুমকির মুখে বহু নেতা-কর্মীই যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু কিছুদিন গড়াতেই সকলেই নিজেদের ভুল বুঝছেন। তাই ত্যাগ করছেন গেরুয়া সঙ্গ। এবার যেমন ৩ দিনের ব্যবধানে ওন্দা থানার আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এল তৃণমূলের দখলে। মঙ্গলবার এসেছিল চূড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, শুক্রবার এল কল্যাণী।
প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতের ৯টি আসনেই জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর প্রধান রিনা শর্মা-সহ ৬ জন সদস্য বিজেপিতে চলে যান। ফলে, গ্রাম পঞ্চায়েতটি চলে যায় বিজেপির নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু তাঁদের পদ্মে মোহ ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। আর তারপরই শুক্রবার বিকেলে কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান-সহ ৫ সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে। ফলে, গ্রাম পঞ্চায়েতটি এল তৃণমূলের দখলে। তাঁদের সদস্যসংখ্যা এখন ৮ জন।
তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা জানান, ভয় দেখিয়ে, মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে এই সদস্যদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেই তাঁরা ফিরে এসেছেন। প্রধান ছাড়া অন্য সদস্যরা হলেন ফটিক মণ্ডল, আনন্দ মণ্ডল, গদাধর কোলে ও মায়া মাল। মন্ত্রী এ-ও জানান, চূড়ামণিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও একজন সদস্যও ওই সভায় তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে, ৯ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে এখন তাঁদের মোট সদস্য ৮ জন।
গতকাল যোগ দেন প্রধান জলধর রায় ও সদস্য যমুনা পাত্র। এই পঞ্চায়েতেও ৯টি আসনের মধ্যে ৮টিতে জিতেছিলেন তাঁরা। পরে প্রধান-সহ ৬ জন বিজেপিতে চলে যান। মঙ্গলবার তাঁদের মধ্যে ৪ জন দলে ফিরে এসেছিলেন। ওইদিন তাঁদের সদস্যসংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৬ জন। অবশেষে গতকালের অনুষ্ঠানে ওন্দার বিধায়ক অরূপ খাঁ, ব্লক সভাপতি অশোক চ্যাটার্জি, অঞ্চল সভাপতি কাঞ্চন পাল প্রমুখ উপস্থিতিতে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন শ্যামল সাঁতরা।