বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি, তেমন চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট- সর্বত্রই বাজারে চাহিদা বাড়ন্ত। বিক্রি না হওয়ায় বন্ধ করতে হচ্ছে উৎপাদন। বস্ত্র এবং নির্মাণ শিল্পের অবস্থাও তথৈবচ। এ সবের ফলে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধিও নেমে গেছে ৫ শতাংশে। দেশের অর্থনীতি যখন এমনই কাহিল, তখন খাঁড়ার ঘা রপ্তানি শিল্পেও। শুক্রবার সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে, আগস্টে ভারতের রপ্তানি ৬.০৫ শতাংশ কমে ২,৬১৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
রপ্তানিকারী সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়ো-র প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার শরাফের দাবি, এটা অনিশ্চয়তা, বিশ্ব বাজারে ঝিমিয়ে থাকা চাহিদা ও শুল্ক যুদ্ধের প্রতিফলন। সহজে ও কম খরচে ঋণের সুবিধা, কৃষি রফতানিতে সাহায্য, বিদেশি পর্যটকদের পণ্য বিক্রিতে সুযোগ, জিএসটিতে আগে মেটানো করের টাকা দ্রুত ফেরতের মতো ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। আশঙ্কা প্রকাশ করে কাঁচামালের খরচ কমানোর কথা বলেছেন ইইপিসি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রবি সেহগলও। তোপ দেগেছে বিরোধীরাও। তাদের কটাক্ষ, যে গতিতে আমদানি-রপ্তানি কমেছে, তাতে স্পষ্ট আর্থিক কর্মকাণ্ড সঙ্কুচিত হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি যে গভীর সঙ্কটে, তাতে মাধ্যাকর্ষণ ও নতুন প্রজন্মের কিচ্ছু করার নেই।