ফের একবার ডারউইনের তত্ত্ব বিষয়ে মুখ খুলে বিতর্কে কেন্দ্রীয় উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী সত্যপাল সিং। ডারউনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “২০ বছরের মধ্যে ডারউইনের তত্ত্ব ভূল প্রমাণিত হবে। আমার পূর্ব পুরুষরা বানর ছিলেন না। বিবর্তনবাদের মধ্যে দিয়ে আমার জন্ম হয়নি।” ডারউনের সর্বগ্রাহ্য তত্ত্বকে “বৈজ্ঞানিক ভূল” বলে ব্যাখ্যা করেছেন মন্ত্রী সত্যপাল।
এর আগেও বেশ কয়েকবার ডারউইনের তত্ত্বকে “অবৈজ্ঞানিক” বলেছিলেন তিনি। তাঁর মতে ডারউইনের ভুল তত্ত্ব স্কুল বা কলেজের পাঠ্যসূতিতে রাখা উচিত নয়। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভূল শিক্ষা দেওয়া অপরাধের। তিনি আরও বলেন, “আমাদের মণীষীরা কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবে বলে যাননি বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি। মানুষ থেকেই মানুষের আবির্ভাব। ডারউইনের আনেক আগে থেকেই মানুষের অস্তিত্ব পৃথিবীতে।”
শুধু ডারউনের তত্ত্বই নয়। এর আগে নিউটনের “গতি সূত্র” নিয়েও সরব ছিলেন উত্তর প্রদশের ভাগপতের এই বিজেপি সাংসদ। তাঁর মতে, কয়েকটি মন্ত্র পক্রিয়াতেই গতির সূত্রের আবির্ভাব। যা নিউটাউনের গতির সূত্র আবিষ্কারের বহু আগেই আবিষ্কৃত। প্রাচীন এই তত্ত্ব পাঠ্যসূচিতে রাখারও আবেদন জানিয়েছেন মন্ত্রী। গত মাসে ৬৫তম কেন্দ্রীয় শিক্ষা উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও সেই আবেদন পেশ করেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর।
একজন মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে বৈঠকে অস্বস্তিতে পড়ে যান জাভড়েকর। সত্যপল সিংকে তথ্যনিষ্ঠ বক্তব্য পেশের কথা বলেন তিনি। বিজ্ঞানকে বৈজ্ঞানীদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
তবে এতেও থেমে থাকেননি সত্যপল সিং। তাঁর মতে, “দেশের শিক্ষাবিদরা পাশ্চাত্য শিক্ষার দ্বারা অনুপ্রাণিত। কিন্তু উচিত ভারতীয় প্রাচীন বিদ্য়ায় নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে তোলা।”
জিএসটি, কালো টাকা, স্বচ্ছ ভারত নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে অস্বস্তিতে বিজেপি। সেই তালিকায় যোগের অপেক্ষায় সত্যপালের তত্ত্ব।