গো মাংস নিষিদ্ধ করা নিয়ে এক এক রাজ্যে এক এক আইন কেন করছে বিজেপি? প্রশ্ন গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেসের৷ সোমবার কর্ণাটকের বিজেপি সাসংদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছিলেন কর্ণাটকে গো মাংস নিষিদ্ধ করা হবে৷ তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এমন প্রশ্ন তুললেন গোয়ার প্রদেশ কংগ্রেস৷ কর্ণাটকে জনতাদল সেক্যুলার ও কংগ্রেসের জোট সরকার ভেঙে এখন বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা৷ আর ক্ষমতায় এসেই কর্ণাটক বিজেপি রাজ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ করার জোরালো দাবি তুলেছে৷ সেই দাবি মেনে এই রাজ্যে বিজেপি শাসিত অন্যান্য কিছু রাজ্যের মতো গোমাংস জবাই , বিক্রি ও ভক্ষণ বন্ধ করে দিতে চলেছে ইয়েদুরাপ্পা সরকার৷
এদিকে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর মতে, কর্ণাটকের বহু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা ভেবে এই রাজ্যে গো মাংস নিষিদ্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে৷ আমি মনে করিনা গোয়ায় এর কোনও প্রভাব পড়বে৷ উল্লেখ্য গোয়া বিজেপি শাসিত রাজ্য হলেও এখনও সেখানে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ নয়৷ গোয়ার মতো উত্তর-পূর্বর কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ করেনি বিজেপি৷ গোয়ার কংগ্রেস সভাপতি গিরিশ চোদনকরের সাফ প্রশ্ন, যে দল এক দেশ, এক আইন, এক নির্বাচন বলে সর্বক্ষন চেঁচায় তারা কী গো রাজনীতি নিয়ে দ্বিচারিতা দেখায় কেন? তাঁর স্পষ্ট কথা, আসলে বিজেপি গোরাজনীতির নামে সাম্প্রদায়িকতার ঘৃণ্য রাজনীতি করে৷ যা খুবই খরাপ বলে মনে করেন তিনি৷
কর্ণাটকে গোমাংস নিষিদ্ধ করলে তার প্রভাব পড়িশ রাজ্য গোয়ায় সাংঘাতিকভাবে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রাকশ করেছেন গোয়ার কুরেশি মার্কেটের সভাপতি মান্না ব্যাপারি৷ তাঁর কথায়, ‘গোয়ায় বেশিরভাগ সময় বিদেশি পর্যটক আসেন৷ তাঁদের গোমাংস জোগান দিতে কণাটকের মুখাপেক্ষী হতেই হয় গোয়াকে’৷ তাঁর আরও আশঙ্কা, এতে গোয়ার সরকারি বাজারেও গোমাংসে টান পড়বে৷ এমন হলে গোয়ায় পর্যটকের সংখ্যা কমে যাবে বলে আশঙ্কিত তিনি৷