দেশে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। যদিও বিজেপি নেতারা তা মানতে নারাজ। কিন্তু মন্দার ঢেউ এবার এসে লাগল খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যেই। গুজরাতের বস্ত্র এবং চা ব্যবসায়ী সংগঠন আগেই মোদীর কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছিল এই দুই শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য। এবার গুজরাতের তামাক শিল্পের তিনটি সংগঠনও আর্থিক সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হল।
গুজরাত তামাক ব্যবসায়ী সংগঠন এবং গুজরাট তামাকচাষি ও ব্যবসায়ী সংগঠন এই শিল্পকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে সব কটি জাতীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। চিঠিতে সংগঠন লিখেছে, আগে থেকেই তামাকচাষি এবং ব্যবসায়ীরা আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তার উপর যদি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ই–সিগারেটে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে অধ্যাদেশ আনে সেটা তাঁদের পক্ষে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।
এখানেই না থেমে ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যেহেতু গুটখা দীর্ঘদিন ধরেই নিষদ্ধ, সেহেতু নিকোটিন উৎপাদনই আমাদের একমাত্র আর্থিক অবলম্বন। নিকোটিন শিল্প কারখানার সম্প্রসারণ হলে কর্মসংস্থানও বাড়বে। তাছাড়া গুজরাতের জমিতে অন্য শস্যের বদলে নিকোটিনই ভালোভাবে চাষ করা যেতে পারে। সারা বিশ্বেও ই–সিগারেটকে তামাক সেবনকারীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেকটাই নিরাপদ বলে মেনেছে। আগামী দিনেও তামাক সেবনকারীরা এটাই সেবন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এর উৎপাদনের সুযোগ নেওয়া উচিত ভারতের’।
সংগঠনের তরফে আরও লেখা হয়েছে, কোনও কিছু নিষিদ্ধ করে দেওয়াই একমাত্র সমাধান হতে পারে না। নিষিদ্ধ করার প্রভাব কী হতে পারে সেটাও ভেবে দেখা উচিত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক অধ্যাদেশ পাস করার আগে এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্ত বা অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা তাঁদের মতামত পেশ করতে চান বলে মোদীকে চিঠিতে আবেদন করেছেন তামাক ব্যবসায়ী এবং চাষিরা।