বিদেশ সফরে দেশের যে কোনো প্রধানমন্ত্রীকে তিনি দিয়েছেন ১০ গোল। আর এই সফরে খরচ হয়েছে বিপুল টাকা।প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরকে নিশানা করেছিলেন বিরোধীরা। সম্প্রতি ‘তথ্যের অধিকার আইনে’ প্রকাশিত তথ্য সেই নিশানাকে আরও পোক্ত করবে।
বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ‘তথ্যের অধিকার আইন’ আন্দোলনের এক কর্মী সম্পতি প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর সমন্ধে জানতে চান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত ৪৮ মাসে ৪১বার বিদেশ সফর করেছেন। গিয়েছেন ৫০টি দেশে। এইসব সফরে সার্বিক খরচের পরিমাণ ৩৫৫ কোটি টাকা। তাঁর চার বছরের শাসনকালে ১৬৫ দিন বিদেশেই ছিলেন নরেন্দ্র মোদী।
দেশে অরাজগতা চলছে। ভেঙে পড়েছে শাসন ব্যবস্থা। অভিযোগ করেন বিরোধীরা। কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রীর ‘বিদেশ সফর’কে। তথ্যের অধিকার আইনে প্রকাশিত তথ্য বিরোধীদের সেই কটাক্ষকে আরো জোরদার করতে চলেছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
প্রকাশিত তথ্যে উঠে এসেছে ব্যয়বহুল ও সব চেয়ে কম খরচের বিদেশ সফরের প্রসঙ্গও। ফ্রান্স, জার্মানি ও কানাডা সফরে গিয়েছিলেন প্রধান মন্ত্রী মোদী। এই তিন সফরে তাঁর খরচ হয় ৩১.২৫ কোটি। সর্বনিম্ন খরচ হয়েছে প্রতিবেশী ভূটান সফরকালে। ২.৪৫ কোটি টাকা খরচ হয় ভূটান সফরে।
তবে গত চার বছরে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ নিয়ে তথ্যের আধিকার আইনের প্রেক্ষিতে প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে অমিল রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দেওয়া তথ্যের। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওয়েবসাইটে ৩০টি বিদেশ সফরের খরচের উল্লেখ রয়েছে। বাকি বিদেশ সফরের খরচের বিবরণ নেই।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন ফেরি করছেন মোদী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ওয়েবসাইটেই মেলে না সঠিক তথ্য। অন্যদিকে, বিদেশ সফরে খরচের বহর। সব মিলিয়ে শক্তিশালী হল মোদীকে নিশানায় বিরোধীদের হাতিয়ার।
দেশে যখন মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে তখন দেশের মানুষের টাকায় প্রধানমন্ত্রীর এই বিপুল বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।