রজার ফেডেরার-নোভাক জোকোভিচের মতো টেনিস তারকারা ইউএস ওপেন থেকে ছিটকে যাওয়ায় রাফায়েল নাদালের ওপরই ভরসা রেখেছিলেন টেনিসপ্রেমীরা। সেই ভরসার দাম দিয়ে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির আর্জেন্টাইন দিয়েগো সোয়ার্টজম্যানের বিরুদ্ধে নাদাল জিতলেন ৬-৪, ৭-৫, ৬-২ সেটে। টেনিসমহলও একবাক্যে বলে দিল, রজার ফেডেরার-নোভাক জোকোভিচ ছিটকে যাওয়ায় এ বারের ট্রফি স্পেনীয় তারকার হাতেই উঠছে। এবং দ্বিতীয় বাছাই নাদালকেই সেমিফাইনালে ইটালির মাত্তেয়ো বারেত্তিনির বিরুদ্ধে এগিয়ে রাখছেন সবাই।
তবে এর মধ্যেও প্রকৃতির অসহযোগিতা নিয়ে ভাবছে বিশ্বের এই অন্যতম টেনিস তারকাতে। সেমিফাইনালে যে আবহাওয়ার মধ্যে তাঁকে খেলতে হবে সেই অস্বস্তির কথা স্বীকার করলেন নাদাল নিজেও। ‘‘আমার খেলতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু এখানে আবহাওয়া এতটাই ভ্যাপসা আর স্যাঁতস্যাঁতে যে বলার নয়। আমার তো বেশ কয়েক বার পেশিতে টান ধরল। একটা সময়ের পরে বাধ্য হয়েই আমাকে লবন খেতে হল। তার পরে অবশ্য তেমন বড় কিছু সমস্যা হয়নি,’’ বললেন জিতেও কাহিল অবস্থায় পড়ে যাওয়া স্পেনীয় তারকা। সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘আপাতত আমার শরীর নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আজ যা যা হয়েছে তা বিরাট বড় কোনও সমস্যা নয়। এটা ঘটনা, এ রকম আবহাওয়ায় খেলতে গিয়ে বড্ড বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ছি। মনে হচ্ছে এখন আমার প্রচুর ঘুমের দরকার। তবে আমি নিশ্চিত যে পরের ম্যাচগুলোয় ভাল অবস্থাতেই খেলতে পারব।’’
ফ্লাশিং মেডোজে এ বার প্রথম তিন রাউন্ডে কোনও সমস্যাতেই পড়তে হয়নি নাদালকে। তার উপর দ্বিতীয় রাউন্ডে তিনি ওয়াকওভার পান। কিন্তু মারিন চিলিচের বিরুদ্ধে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁকে বেশ খানিকটা লড়তে হয়েছে। আর এ দিনের কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁকে ভোগাল নিউ ইয়র্কের আবহাওয়া। তবে স্পেনীয় তারকা মনে করছেন, ট্রফির লক্ষ্যে এ বার তিনি ভাল ভাবেই এগোচ্ছেন। বললেন, ‘‘মনে হচ্ছে, আজ আরও একটা ধাপ ভাল ভাবেই উতরে গেলাম। জিতে নিজেকে অনেক আত্মবিশ্বাসীও মনে হচ্ছে। পরপর দু’টো ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেললাম। এখন শুধু নিজের খেলার গতিটা আর একটু বাড়াতে হবে। সত্যিই মনে হচ্ছে এ বার অন্তত পারব।’’
কিন্তু এত কিছুর পরেও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ উৎকণ্ঠিত। উৎকণ্ঠার কারণ নিউ ইয়র্কের অসম্ভব আর্দ্র ও উষ্ণ আবহাওয়ায় মানিয়ে নিতে নাদালের নাজেহাল অবস্থা হওয়া। বৃহস্পতিবার যা চাক্ষুষ করলেন ফ্লাশিং মেডোজের দর্শকরা।