‘সমালোচনা করুন কিন্তু বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না’। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষারত্ন সম্মানপ্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে শিক্ষকদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের একাধিক পদক্ষেপের দিকগুলি তুলে ধরেন তিনি।
এদিন ভাষণের শুরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘স্কুলের সুনাম বৃদ্ধি করেন শিক্ষকরা’। শিক্ষক দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি জিনিস মানুষ কখনও ভোলে না। মা-বাবা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে কেউ ভোলে না’। সরকারের ঋণের বোঝার কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘টাকা দিয়ে শিক্ষকের ঋণ শোধ করা যায় না। গত আট বছরে কাজ করতে গিয়ে আমার অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই বছরেও আমাদের ৫৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধ করতে হয়েছে’।
এরপরই তিনি বাংলার অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘ভেবে দেখুন, বাংলা কতটা এগিয়ে গিয়েছে। আমি যখন দিল্লিতে পার্লামেন্টে যেতাম, তখন শুনতে হত বাংলা তো ছাগলের তৃতীয় ছানা! সবেতেই বাংলার স্থান ছিল পেছনের দিকে। অথচ আজ অনেক বিষয়ে বাংলা এক নম্বরে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে আজ বাংলা মডেল। শিক্ষাসমাজেরও এজন্যে গর্ব হওয়া উচিত।’
সমালোচকদের উদ্দেশে তাঁর আবেদন, ‘আমি সমালোচনা স্বাগত জানাই। কিন্তু সমালোচনা করতে গিয়ে বাংলার নিন্দা করবেন না। নিজের রাজ্য, নিজের ভাষাকে পিছিয়ে দেবেন না।’ শিক্ষকদের উদ্দেশ্যেও তিনি জানান, ‘সব রাজ্য সরকার এমনকী কেন্দ্রও পেনশন তুলে দিয়েছে। কেবলমাত্র বাংলার সরকার পেনশন দেয়। এটা না দিলে এক লাফে ১০,০০০ কোটি টাকা কমে যাবে। কিন্তু শিক্ষকদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমরা সেটা করিনি।’
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের স্বীকৃতির দিকটি নিয়েও আলোচনা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথী রাষ্ট্রসংঘেও প্রথম হয়েছে। মেয়েদের পড়াশোনার মাধ্যমে এগিয়ে আসার জন্য এগুলো করা’। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে কেন্দ্র সরকারের নীতিরও তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।