বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে নামার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ভারত। আজকের ম্যাচে ভারতের বড় অস্ত্র হতে চলেছেন সুনীলই। সেই অস্ত্রকে কাজে লাগিয়ে ওমানকে হারিয়ে অঘটন ঘটানোর ক্ষমতা রাখেন ভারতীয় ফুটবল টিম। এমনই মনে করছেন ফুটবল প্রেমীরা। অতীত ভুলে সামনের দিকে তাকানোই লক্ষ্য টিম ইন্ডিয়ার।
গুয়াহাটিতে ভারত অধিনায়ক সুনীল সাংবাদিক বৈঠকে এসে বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রস্তুতি খুব ভাল হয়েছে। ছেলেরা প্রত্যেকে দারুণ ফিট এবং সবার মধ্যে ভাল খেলার একটা খিদে দেখা যাচ্ছে। ওমানের বিরুদ্ধে নামার জন্য সবাই মুখিয়ে আছে।’’
দেশের জার্সিতে ১১১ ম্যাচে ৭১টি গোল পেয়েছেন ভারত অধিনায়ক। তবে সুনীল ছাড়া দলের বাকিরা সে রকম অভিজ্ঞ নয়। তাতে অবশ্য সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন অধিনায়ক। তিনি জানাচ্ছেন, তরুণ ফুটবলারদের কাছ থেকে দল কী চাইছে, প্রত্যেকে সেটা জানেন। সুনীলের মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলটা তরুণ। কিন্তু ওদের বলার দরকার নেই, মাঠে নেমে কী করতে হবে। প্রত্যেক ফুটবলার জানে ওদের কাছ থেকে কী চাওয়া হচ্ছে। কোচ ওদের যা বলার বলেছে। আমাকে এই দলটার সামনে একটা ভাল উদাহরণ হতে হবে। যত দিন মাঠে নামব, নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে চাই।’’
২০১৫ সালে ওমানের বিরুদ্ধে এ রকমই একটি বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে ভারত ১-২ হেরেছিল। একমাত্র গোলটি করেছিলেন সুনীলই। সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ উঠলে সুনীল বলছেন, ‘‘ওই ম্যাচে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। প্রথম দিকে গোল খেয়ে গিয়েছিলাম। আমরা ১-২ গোলে হেরেছিলাম, কিন্তু আমাদের একটা গোল অফসাইডে বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এ বার আমরা ভাল খেলার ব্যাপারে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী। ছেলেরা সবাই আশাবাদী, ম্যাচে ভাল কিছু করা যাবে। আশা করছি, কাল মাঠ ভরে যাবে।’’
ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্তিমাচ মনে করেন, ওমানের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য তাঁরা তৈরি। ‘‘এই ম্যাচের জন্য আমাদের প্রস্তুতি এক দম ঠিকঠাক হয়েছে। কোচ হিসেবে আমি খুশি,’’ বলেছেন স্তিমাচ। কাল কী লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে আপনার দল? স্তিমাচের জবাব, ‘‘আমরা মাঠে সংগঠিত ফুটবল খেলতে চাই। আগের ম্যাচগুলোয় আমরা দেখিয়েছি, পুরো ৯০ মিনিট সংগঠিত ফুটবল খেলার ক্ষমতা আছে আমাদের। আমরা কয়েকটা গোল হয়তো খেয়েছি, এটাও দেখিয়ে দিয়েছি, ভাল দলের বিরুদ্ধে ভাল খেলার ক্ষমতা রাখি।’’ এই তারুণ্য শক্তিতে ভরপুর দলটি আজ তাঁদের পুরো ক্ষমতা নিয়েই মাঠে নামছেন। ওমানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জনের পর্বে এক ধাপ এগিয়ে যেতে চান সুনীল অ্যান্ড কোং।