পুজো বাঙালির ইমোশন। পুজো মানেই কলকাতা। কিন্তু যারা বিদেশ বিভুঁইয়ে থাকেন, উৎসবের দিনে কলকাতা ছেড়ে থাকেন, তারা বিদেশেই খুঁজে নেন একটুকরো বাংলা। তাই, দিন দিন বিদেশে বাড়ছে বাঙালির পুজোর চাহিদা। আর তাই কলকাতায় ব্রিটিশ কাউন্সিলের তরফে বাংলার দূর্গাপুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে শিল্পী ও কারিগর সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিল মূলত ব্রিটেনের বাইরে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন ঘটায়। এবারও কলকাতা সেন্টার ক্রিয়েটিভিটি-তে ব্রিটিশ কাউন্সিল বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছেন। পুজোর সঙ্গে জড়িত কারিগরদের পুজো বাদে বিশেষ রোজগার না থাকায় তাদের বিশ্বে যেসকল মেলা বা ফেস্টিভ্যাল হয়, সেখানে তাদের যোগাযোগ করিয়ে দেবার কথা বলা হয়েছে। তাদের প্রতিভাকে বিশ্ব দরবারে পৌছে দেবার একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিগত তিন বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার সেরা পুজোগুলোকে নিয়ে যে কার্নিভাল আয়োজন করেছেন তাতে ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো ইউরোপীয় দেশ গুলি বিপুল উৎসাহ পেয়েছে। গতবছর ব্রিটিশ কনসাল জেনারেল এই কার্নিভালে গিয়ে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপরেই এবার দূর্গা পুজো নিয়ে এমন উদ্যোগ নিল ব্রিটিশ কাউন্সিল।
এই কার্নিভালের ফলে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে যায় বাংলা। গত বছর টেমস নদীর ধারে বাংলার দুর্গা পুজোর শো-কেস তৈরি হয়েছিল। টেমস ফেস্টিভাল বিশেষত বাংলা থেকে আসা মানুষদের জন্য একটি আকর্ষণীয় উৎসব হয়ে উঠেছিল।
বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে শিল্পীদের পাঠানো হয়েছিল। বিশ্বের দরবারে মান পেয়েছে বাংলার শিল্পীরা। পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীরা বিশ্বের দরবারে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পেয়েছেন। বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা, উড়িষ্যার ডোকরা প্রভৃতি বিশ্বের দরবারে মান পেয়েছে।