গণেশ পুজো আর মহরমের সময় সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘর্ষ বাঁধাতেই ব্যারাকপুরে পুলিশকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
দুদিন আগেই রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং ব্যারাকপুরের গণ্ডগোলের জন্য বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন, ওই গণ্ডগোলের নায়ক। দলীয় কর্মীরাই অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটিয়েছে। এমনকী দুষ্কৃতীরা জগদ্দলে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বোমাবাজি করে ফের বাড়িতে ঢুকে যায়, এমন ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে। এই নিয়ে মামলাও করতে চলেছে পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেই এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মনোজ বর্মা।
ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘ব্যারাকপুরের পরিস্থিতি শান্ত থাকুক সেটা চাইছেন না স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই রবিবার পুরো পরিকল্পনা করে গণ্ডগোল করা হয়েছে। সোমবার থেকে গণেশ পুজো এবং তারপর মহরম। গণ্ডগোল, সঙ্ঘর্ষ বাধিয়ে এই দুই উৎসবের সময় সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্যই সেদিন পরিকল্পনা করা হয়েছিল’।
বিজেপির দাবি, তাদের দলীয় কর্যালয় খোলাকে কেন্দ্র করেই এই গণ্ডগোল। যদিও গেরুয়া শিবিরের এমন দাবিকে পাত্তা দিচ্ছেন না মনোজ বর্মা। তাঁর কথায়, ‘গত এক মাসে ব্যারাকপুরের বিভিন্ন জায়গায় ১০-১৫ টা পার্টি অফিস তৃণমূল নতুন করে খুলেছে। কোথাও কোনও গণ্ডগোল হয়নি। সেদিনও যে পার্টি অফিসকে ঘিরে গণ্ডগোল শুরু হয়, তার আগে দু’দলের কথা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সেদিন পরিকল্পনা করে গণ্ডগোল পাকানো হয়েছে। যার জন্য চার রাস্তার সবদিক থেকে পুলিশকে আক্রমণ করা হয়েছে। বোমা, ইট ছোঁড়া হয়েছে। আসল উদ্দেশ্য ছিল, পুলিশকে আক্রমণ করে এলাকায় ফের অশান্তি সৃষ্টি করা। যাতে পুলিশ পিছু হঠলে গণেশ পুজো এবং মহরমকে কেন্দ্র করে এই অশান্তি সাম্প্রদায়িক সঙ্ঘর্ষে পরিণত করা যায়’।