পাশে-পিছনে পুলিশ। আদালত থেকে সিবিআই হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। যাবার পথে হাতের আঙুলের মুদ্রা করে পি চিদম্বরম বলছেন, ‘পাঁচ শতাংশ। জানেন তো পাঁচ শতাংশ কি? আপনারা পাঁচ শতাংশ মনে রাখবেন’।
হ্যাঁ, আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে এসেছে পাঁচ শতাংশে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিরুদ্ধে এভাবেই আঙুলের মুদ্রায় ‘পাঁচ শতাংশ’-এর কটাক্ষ ফিরিয়ে দিলেন পি চিদম্বরম।
মোদীর আমলে অর্থনীতির খারাপ অবস্থা নিয়ে এত দিন পি চিদম্বরম কংগ্রেসের হয়ে আক্রমণে নেতৃত্ব দিতেন। তিনি সিবিআই হেফাজতে যাওয়ার পরে মুখ খুলতে পারেননি। আজ সিবিআই আদালত চত্বরেই তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে চিদম্বরম পাঁচ শতাংশ নিয়ে মোদী সরকারকে কটাক্ষ করেন।
অর্থনীতির হাল যতই খারাপ হোক, মোদী সরকার তা স্বীকার করতে নারাজ। গাড়ি বিক্রি কমার খবর উড়িয়ে দেওয়া দেখে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী মন্তব্য করেন, ‘কোনও মিথ্যেকে একশো বার বললে সেটা সত্যি হয়ে যায় না। বিজেপি সরকারের স্বীকার করা উচিত যে, অর্থনীতিতে ঐতিহাসিক মন্দা এসেছে। সরকারের এর সমাধান করা উচিত’।
কিন্তু নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত নতুন গাড়ি বাজারে আসার রিপোর্ট দেখিয়ে টুইট করেছেন, ‘কোথায় ঝিমুনি? বাজারে আসা নতুন গাড়ির মডেল তো দুরন্ত গতিতে ছুটছে।’
এর পাল্টা দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তাঁর বক্তব্য, ‘নীতি আয়োগের নীতি-র অর্থ হল, নট ইন টাচ উইথ ইন্ডিয়া। বাস্তব হল, টানা ১৫ মাস ধরে জিডিপি-র বৃদ্ধির হার কমছে। তার পরেও এই কথা’!
অর্থনীতিবিদ তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও মোদী সরকারকে নিশানা করে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে মন্তব্য করেছেন। যদিও তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর তা মানতে নারাজ। তাঁর মন্তব্য, ‘নমোহন সিংহের বিশ্লেষণের সঙ্গে আমরা একমত নই। দায়িত্বশীল সরকার হিসেবে আমরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি’।