ইভিএমের ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রশ্ন তুলেছে অনেক আগেই। এ বার তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচির অন্যতম প্রধান দাবি ছিল, ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালট পেপার ফেরাতে হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে পুরভোট হবে ব্যালটেই। লোকসভা ভোটের পরে ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলে অন্য কয়েকটি দলও। এবার নির্বাচন কমিশনেই সরাসরি দাবি জানানো হল ইভিএম নিষিদ্ধ করার।
ইভিএমের প্রতি অনাস্থার ইঙ্গিত মিলেছে নির্বাচন কমিশনের ফেসবুক পেজেই। গতকাল বেলা ১১টা নাগাদ দিল্লির নির্বাচন সদনে দেশের নির্বাচক তথ্য যাচাই কর্মসূচির সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা-সহ কমিশনের শীর্ষ কর্তারা। সেই উপলক্ষে কমিশন তাদের ফেসবুক পেজে এই কর্মসূচির ‘লাইভ’ বা সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থাও করেন। সেই লাইভ চলাকালীন পেজে অজস্র ‘কমেন্ট’ আসে আমজনতার কাছ থেকে। ইভিএমে নিজেদের ‘অবিশ্বাসের’ কথা বলেছেন অনেকে। ইভিপি সংক্রান্ত প্রশ্নের অধিকাংশেই দাবি করা হয়, ইভিএম নিষিদ্ধ করা হোক। গণতন্ত্র রক্ষার্থেই ইভিএম নিষিদ্ধ করা দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। সে-ক্ষেত্রে ব্যালট ফেরানোর দাবিও উঠেছে।
ইভিএমের পক্ষে কমিশনের কর্তারা নিয়মিত সওয়াল করেছেন এবং করছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছে কমিশন। আমজনতাকে বুঝিয়েছে তারা। তার পরেও ইভিএম যে আমজনতার সম্পূর্ণ আস্থা অর্জন করতে পারেনি, রবিবেলায় ফের তা প্রমাণিত হল বলে অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের অভিমত।