ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর ১১১ রানের ইনিংসই ভারতকে প্রথম ইনিংসে বড় রানের পুঁজি গড়ে দেয়। আর জীবনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি প্রয়াত বাবাকেই উৎসর্গ করলেন হনুমা বিহারি। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানটি। হনুমা বলেন, “মাত্র ১২ বছর বয়সে আমি বাবাকে হারিয়েছিলাম। সেদিন থেকেই নিজের মনে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরিটি আমি বাবাকেই উৎসর্গ করব। আমার দীর্ঘ দিনের সেই ইচ্ছা পূরণ হল। আজকের দিনটা আমার কাছে তাই ভীষণই আবেগের। বাবা যেখানেই থাকুন না কেন, আমি যা করেছি, তার জন্য নিশ্চয় গর্বিত হবেন”।
কিংস্টন টেস্টে প্রথম দিন ৫ উইকেটে ২৬৪ তুলেছিল ভারত। ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন হনুমা। সঙ্গে ছিলেন ২৭ রানে ব্যাটিং করা ঋষভ পন্থ। দ্বিতীয় দিনে আর কোনও রান না করেই ফিরে যান ঋষভ। রবীন্দ্র জাদেজাও (১৬) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ক্রিজে। এই পরিস্থতিতে টেল এন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন হনুমা। তাঁকে দরুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। ১১২ রানের পার্টনারশিপে তিনিও করে গেলেন কেরিয়ারের প্রথম অর্ধশতরান। শেষ পর্যন্ত ৮০ বলে ৫৭ রান করে আউট হন ইশান্ত। ইশান্ত ক্রিজের অন্য প্রান্তে টিকে না থাকলে হয়ত প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির মুখ দেখতে পেতেন না হনুমা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শতরান করতে পেরে ভালো লাগছে। এর জন্য ইশান্তেরও কৃতিত্ব রয়েছে। এদিন ও আমার থেকেও ভালো ব্যাটিং করেছে। ইশান্তের অভিজ্ঞতাও আমাকে এগিয়ে যেতে দারুণ সাহায্য করেছে”।