বাংলার শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা সবাই কোমর বেঁধে নেমেছেন তাঁদের প্রিয় নেত্রীর নির্দেশ মতো। রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেটুকু দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটুকুও দূরত্ব রাখতে চান না দল নেত্রী। তাই সবার কাছে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁর দলের অনুগামী নেতা-কর্মীদের। তাই সকলেই তাঁদের প্রিয় ‘দিদি’-র কথামতো কাজ করতে ব্যস্ত। যে যাঁর নিজের মতো করে জন সংযোগের উপায় বার করছেন। লক্ষ্য একটাই। এইবার সেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে গিয়ে রীতিমতো নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করতে দেখা গেল বনগাঁ উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে।
শনিবারই ‘দিদিকে বলো’-র প্রচারে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের স্মৃতি-বিজড়িত বিভূতিঘাটে কচুরিপানা জমে থাকতে দেখে নিজেই সাফাইয়ের কাজে হাত লাগান গোপালবাবু। তাঁকে সহযোগিতা করেন দলের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা। ‘দিদিকে বলো’র গেঞ্জি গায়ে নৌকায় বসে নদী থেকে কচুরিপানা টেনে তুলছেন এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
শনিবার সকালে নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে এমনই দৃশ্য তাড়িয়ে উপভোগ করলেন গোপালনগরের বাসিন্দারা। সাহায্যে এগিয়েও আসেন কেউ কেউ। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে গোপালনগরে যান বনগাঁ উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ।
প্রসঙ্গত, এইদিন বিভূতিঘাটে যেতেই প্রাক্তন বিধায়কের নজরে পড়ে ঘাট ভরে ফেলেছে কচুরিপানা। ফলে ঘাট ব্যবহারে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। এরপরই কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগান প্রাক্তন বিধায়ক ও তৃণমূলের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে হাতে হাত লাগান স্থানীয়রাও। সেই সঙ্গে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির জঙ্গলও পরিষ্কার করেন তিনি। তাঁর এই ভূমিকায় অভিভূত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁকে ঘিরে ধন্য ধন্য রব উঠেছে গ্রামবাসীর মধ্যে।