সোজা পথে যেতে দেওয়া হয়নি সিপিএমের সাধারণ সম্পাদককে। তাই বিচার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়ার পরেই কাশ্মীর যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। কেন বাধা দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে, এবার মিলল তার উত্তর। আসলে সরকার যা দাবি করছে, কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ তার বিপরীত। এমনউ দাবি করলেন ইয়েচুরি।
প্রসঙ্গত, সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামি বেপাত্তা বলে অভিযোগ তুলেছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরি। তারপরই তারিগামির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আদালত রায় দেয়, কাশ্মীরে যেতে পারবেন সীতারাম ইয়েচুরি। দেখা করতে পারবেন ইউসুফ তারিগামির সঙ্গেও। অবশেষে বৃহস্পতিবার শ্রীনগর পৌঁছনোর পরে তারিগামির সঙ্গে দেখা করেন তিনি। শুক্রবার দিল্লী ফেরেন। তিনি জানিয়েছেন, তারিগামিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। বস্তুত ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ এবং কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে কার্ফু জারি হওয়ার পরে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা শ্রীনগরে ঢুকতে পারলেন।
এর আগে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বিরোধীদের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। সেই দলে ছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। তবে প্রতিনিধিদলকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠিয়ে দেয় জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। তবে তারিগামির সঙ্গে দেখা করতে পারলেও ইয়েচুরিকে আর কারও সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ ছিল, তিনি শ্রীনগরে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে পারবেন না।
ইয়েচুরি বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে পুলিশ এসকর্ট করে তারিগামির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেটা নিরাপত্তার জন্য না নজরদারির জন্য, তা জানি না। এর পরে সরকারি অতিথিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আমাকে বেরোতে দেওয়া হয়নি। কারও সঙ্গে দেখাও করতে দেয়নি। শুক্রবার সকালে ফের তারিগামির সঙ্গে দেখা করে ফিরে আসি। সব সময়েই আমার সঙ্গে পুলিশ, আধাসেনা সেঁটে ছিল।’ ইয়েচুরিকে অবশ্য বৃহস্পতিবারই ফিরতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি নিজের খরচেই রাতে অতিথিশালায় থাকেন। আসা-যাওয়ার পথে তিনি যা দেখেছেন, তা নিয়ে ইয়েচুরির বক্তব্য, ‘সরকার যা বলছে, পরিস্থিতি তার সম্পূর্ণ উল্টো।’