তলানিতে থেকেছে দেশের অর্থনীতি। এই অবস্থায় বিনিয়োগও করতে চাইছেন না বিনিয়োগকারীরা। এই অবস্থায় চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার এসে ঠেকল ৫ শতাংশে, গত ছ’বছরে যা সর্বনিম্ন। শুক্রবার সরকারি নথি থেকে এমনই তথ্য উঠে এল।
কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.৮ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে মার্চ, শেষ ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল। এ বার তার চেয়েও কমল আর্থিক বৃদ্ধির হার। এর আগে, ২০১৩ সালের মার্চ মাসে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল। তার পর এই প্রথম আর্থিক বৃদ্ধির হার এত কম হল। মোদী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এই অর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.৩ শতাংশ থাকবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ সরকার।’
জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে যাওয়ার পেছনে চাহিদার ঘাটতিকেই প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিলম্বিত বর্ষা এবং উত্পাদন শিল্পে ঘাটতির কারণে জিডিপি বৃদ্ধির হার কমছে। গত ২৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বেশি কিছু অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা ভাবছে সরকার। যদিও বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা দেশের অর্থনীতিকে অনেকটাই প্রভাবিত করেছে তাতে সন্দেহ নেই। পাশাপাশি রয়েছে বেকারত্বের সমস্যা। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৯.০৭ শতাংশ। চার সপ্তাহে বেকারত্বের হার ৭.৯ থেকে ৯.১ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। গত তিন বছরের সাপ্তাহিক হিসেবে যা সব চেয়ে বেশি।