মোদী সরকার ভারতের মসনদে আসার আগে তাঁর মূল ‘প্রতিশ্রুতি’ ছিল দেশের বেকারত্বের হ্রাস ঘটনা। দেশে কর্মসংস্থানের জোয়ার আনার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে এই বিজেপি সরকারের আমলে। এই বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেতা সুনীল আম্বেদকর। তিনি এইদিন সাংবাদিক বৈঠকে বলে বসেন, ‘বেকারত্ব কোনও অর্থনৈতিক সমস্যা নয়। এটি একটি সামাজিক সমস্যা।’
দেশে বেকারত্ব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বেকারত্ব একটি সামাজিক সমস্যা। আসলে কোনও কাজই ছোট হয় না। কিন্তু সবাই সরকারি চাকরি করতে চায়। বুঝতে হবে, সরকারের পক্ষে তো এত চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী একবার পকোরা বিক্রি করার কথা বলেছিলেন। তা নিয়েও লোকে মজা করেছিলেন। কিন্তু সেটাও তো একটা কাজ। কাজের মর্যাদা এখানে কেউ দেয় না। তাই আমার মনে হয় দেশের বেকারত্ব কোনও অর্থনৈতিক সমস্যা হতে পারে।’
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় ফেরার পরেও বেকারত্বের সমস্যা পিছু ছাড়ছে না মোদী সরকারের। কিছুদিন আগেই সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির (সিএমআইই) একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতেই পরিষ্কার হয়েছে দেশের কাজের বাজারের পরিস্থিতিটা এখন ঠিক কী! সেখানে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৯.০৭%। চার সপ্তাহে বেকারত্বের হার ৭.৯ থেকে ৯.১ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। গত তিন বছরের সাপ্তাহিক হিসেবে যা সব চেয়ে বেশি। চাহিদা কমছে গাড়ির, ভোগ্যপণ্যের। যে কারণে গাড়ি ডিলার, নির্মাতা থেকে শুরু করে বিস্কুট সংস্থাগুলো ছাঁটাই করছে কর্মী। এমন পরিস্থিতিতে বিজেপি ছাত্র সংগঠনের নেতার এই বক্তব্য অস্বস্তি বাড়াবে দলীয় নেতাদের, মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এখন থমকে গেছে। সেটা চাঙ্গা করতে না পারলে বাড়বে আরও বেকারত্ব।