এক তরুণীর রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল রতুয়ায়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে এক বিজেপি নেতার দিকে। ওই বিজেপি নেতাই গতকাল সন্ধ্যাবেলায় ভাতা দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে যান ওই তরুণীকে।
সন্ধ্যাবেলায় ওই বিজেপি নেতা সেই যে ডেকে নিয়ে যান ওই তরুণীকে তারপর সারারাত তিনি আর ঘরে ফেরেননি। তরুণীর পরিবারের চিন্তিত লোকজন তাঁকে খুঁজতে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে গেলে তাদের গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর আজ সকালে সকালে বলরামপুরের দিয়ারার বাগান থেকে অষ্টমী মণ্ডল (২০) নামে ওই তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি মালদার রতুয়ার বলরামপুরের।
মৃত ওই তরুণীর বাবা ভোলা মণ্ডল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাতা দেওয়ার নাম করে এলাকার বিজেপি নেতা কুমার শানু তাঁর মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ মেয়ে না ফেরার ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে খোঁজ করতে যান ভোলা। অভিযোগ, প্রথমে দরজা খুলতে চাইছিলেন না কুমার শানু। কিছুক্ষণ পর দরজা খুলে ভোলার সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে, গালিগালাজ করে তাঁকে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে, দলের লোক এনে টাঙিয়ে দেব’ বলে বিজেপি নেতা হুমকি দেন বলে অভিযোগ তরুণীর বাবার। সকালেও জারি থাকে খোঁজ। এরই মধ্যে গ্রামবাসীরা বাগানে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে খবর দেন তাঁকে। দেখা যায়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন অষ্টমী। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার পর থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে? গতকাল রাতে ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে ঠিক কী হয়েছিল? এটি আত্মহত্যা নাকি খুন? তরুণীর পরিবারের লোকজন তাঁর বাড়িতে খোঁজ করতে গেলে তিনি ওরকম দুর্ব্যবহার করলেন কেন? যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ওই বিজেপি নেতা পলাতক। কুমার শানু নামে ওই বিজেপি নেতার নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।