২০২৪ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে ৪ লক্ষ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেই সম্ভাবনা যে বড়ই কম তা এখন থেকেই স্বীকার করছেন বিভিন্ন ব্যাঙ্কের উচ্চপদস্থ কর্তারা। এরই সঙ্গে কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াচ্ছে টাকার পতন।
অব্যাহত ডলার নিরিখে টাকার পতন। এতটাই যে গত ৬ বছরে রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে এক মাসে টাকার পতন। আজ ০.৪৬ শতাংশ বেড়ে ডলার প্রতি টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৭১.৮১। প্রাথমিকভাবে মন্দা কাটিয়েও ওঠার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি। এরপরও শেয়ার বাজার মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর জন্যে মোদী সরকারের অর্থনীতি সম্পর্কিত ভুল পদক্ষেপকেই দায়ী করছে বাজার।
জুলাইয়ের পর ৩৮০০ কোটি ডলার শেয়ার বাজার থেকে তুলে নিয়েছেন বিদেশি লগ্নিকারিরা। শেয়ারে চড়া কর বসিয়ে বিমুখ করেছে লগ্নিকারিদের। এর জের টাকার পতনেও পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অগস্ট মাস নাকি টাকার পতনের মরসুম। এমনটাই মনে করেন শেয়ার বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে গত নয় বছরে গড় ২.৩ শতাংশ মতো পতনের প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তবে, চলতি বছরে এক মাসে এতটা পতনের হার নজিরবিহীন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডলার নিরিখে টাকার দর আরও দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, বিশ্ব বাজারে মন্দাভাব এখনই কোনওভাবে কাটছে না। চিন-আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। দু’দেশেই ‘শায়েস্তা’ করতে পরস্পর একাধিক পদক্ষেপ করে চলেছে। এর জেরে চিনের সার্বিক বৃদ্ধিতেও ব্যাঘাত ঘটেছে। ডলার নিরিখে চিনা মুদ্রা ইউয়ানের দর গত ১২ বছরে তলানিতে ঠেকেছে। তার প্রভাব ভারতে পড়ছে বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।
২০২৪ সালের মধ্যে ৪ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি লক্ষ্য নিয়ে চলতে গিয়ে এই মুহূর্তে মুখ থুবড়ে পড়েছে মোদী সরকার। জিডিপির বৃদ্ধির হার কমেছে। পরিকাঠামো গত শিল্পে মন্দা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অটো সেক্টরে অবস্থা আরও শোচনীয়। বিভিন্ন সেক্টরে নতুন করে কর্মসংস্থান তো হচ্ছেই না, উপরন্তু চাকরি খোয়াতে বসেছেন কয়েক লক্ষ মানুষ।