আষাঢ় শেষের একটানা প্রবল বৃষ্টির পাশাপাশি ডিভিসি জলাধার থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার ফলে বন্যার কবলে পড়ল সবং ব্লকের ২১টি গ্রাম। রবিবার রাত থেকেই জল বাড়তে থাকে কেলেঘাই, কপালেশ্বরী নদীতে। সোমবার সকালে মানুষজন ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই বাড়ির চারপাশে জলের স্রোত বইতে থাকে। তড়িঘড়ি ঘুম থেকে উঠে গ্রামবাসীরা দেখেন, চারিদিকে শুধু জল আর জল। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা।
সবংয়ে কেলেঘাই কপালেশ্বরী নদী সংস্কারের পর দীর্ঘ ৮ বছর বন্যার কবলে পড়তে হয়নি সবং ও পিংলার মানুষকে। সবংয়ের প্রাক্তন বিধায়ক ও বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া জানান, তিনি সেচমন্ত্রী থাকাকালীন ৬৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র ৩২৫ কোটি টাকা দেওয়ার পর এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফলে দুটি নদী থেকে পলি ও বালি তোলার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তাই আবার বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন সবংয়ের বিধায়ক গীতারানি ভুঁইয়া। মানস বাবু জানান, এই প্রকল্পে বকেয়া টাকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে যেন চাপ দিতে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন।
এদিন সকালে জলবন্দি মানুষজনকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন সবংয়ের বিডিও অভিজিৎ মুখার্জি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাজরা বিবি, কর্মাধ্যক্ষ আবু কালাম বক্স। বৃষ্টির পাশাপাশি ডিভিসি জলাধার থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ায় দেভোগ, উচিৎপুর, বিষ্ণুপুর, মোহাড়, ভেমুয়া, বলপাই, দশগ্রাম, চাউলকুড়ি, সারতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২১টি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রায় ৭ হাজার জলবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে এলাকায় ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়।