সমস্যায় পড়েছেন? কেউ আপনাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করেছে? তাহলে ‘দিদিকে বলো’। গোটা বাংলা জুড়ে এটাই এখন মুশকিল আসানের নয়া মন্ত্র। অনিল কপূর অভিনীত ‘নায়ক’ সিনেমায় যেমন যে কোনও অভাব-অভিযোগ নিয়ে ফোন আসত একদিনের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। আর সেই ফোন পেয়েই অকুস্থলে ছুটে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতেন তিনি। সম্প্রতি সেই কায়দাতেই রাজ্যবাসীর নানা সমস্যার সমাধান করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দিদিকে বলোর পাশাপাশি সমান তালে চলছে জনসংযোগের কাজ। সেই লক্ষে সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের দীঘায় সফর করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার সরকারী বিভিন্নপ্রকল্পের কাজকর্ম কেমন চলছে তার বিস্তারিত খোঁজ নিতে আজ সোমবার বর্ধমান সফরে এলেন তিনি।
এদিন বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই ‘জলশ্রী’ নামে এক নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি কেরলের হাউস বোটের মতো গঙ্গায় ভেসেছে ‘গঙ্গাশ্রী’ ও ‘জলশ্রী’ নামে দুটি হাউস বোট। কিন্তু এদিনের ‘জলশ্রী’ প্রকল্প একেবারেই আলাদা। অনাবৃষ্টি থেকে জেলার মানুষকে স্বস্তি দিতে তৈরি এর প্রকল্প। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গি দমনে রাজ্যজুড়ে বিশেষ নজর দিতে। হালেই মিড ডে মিল নিয়ে হওয়া জটিলতা প্রসঙ্গেও এদিন নতুন পথের দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড ডে মিল-কে একশো দিনের কাজ যুক্ত করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করার কথা জানান তিনি। এরপরই বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ৮ লাখ ৩০ হাজার বাড়ি হবে বাংলা আবাস যোজনায় রাজ্য জুড়ে।
শুধু তাই নয়। জেলাশাসককে এ নিয়ে ধমক দিয়ে কঠোর নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, কোনো ডুপ্লিকেট বাড়ি যেন না হয়। তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন, কি ভাবে হয় এই ঘর? বিডিও দের দায়িত্ব নিয়ে দেখতে হবে কোনো জাল বাড়ি হল কি না। একই সঙ্গে তিনি সরাসরি কাটমানির কথা না বললেও বলেন, এক টাকাও যেন চাঁদা নেওয়া না হয়। পঞ্চায়েত থেকে তালিকা আসার পর তার যেন দ্বিতীয় তালিকা তৈরি না হয় তাও দেখতে হবে বিডিও-দের। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন প্রতিটি আবেদন ধরে একের পর এক কাজ করতে হবে। ৮ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়ি তৈরি হচ্ছে সেখানে যেন কোনও দুর্নীতি না হয় সে ব্যাপারে আধিকারিকদের সাবধান করেন তিনি। এই বাড়ি প্রকল্পের টাকা মানুষ যথাযথভাবে পাচ্ছেন কিনা এবং সঠিক সময়ে কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য বিডিওদের দায়িত্ব দেন মমতা।