এবছর সেভাবে বর্ষা আঁচ কাটেনি বাংলার গায়ে। বর্ষার শেষের দিকে ঘূর্ণাবর্তের জেরে কিছুটা বৃষ্টি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। তবুও বর্ষা আসার অনেক আগে থেকেই আমতা ও উদয়নারায়ণপুরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল সেচ দপ্তরের হাওড়ার ফুলেশ্বর লোয়ার দামোদর কনস্ট্রাকশন ডিভিশন। তা সত্ত্বেও হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে আমতা ও উদয়নারায়ণপুরের বন্যার বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বনের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে এলাকার তিন তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা, নির্মল মাজি এবং রাজা সেনের পাশাপাশি কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রেরও নাম উল্লেখ করেন। তিনি জানিয়ে দেন যে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে ২৭০০ কোটি টাকায় তিনটি জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ আগামী ডিসেম্বর নাগাদ শুরু হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সবুজ সংকেত দিলে সেই কাজ শুরু হবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র উদয়নারায়ণপুরের বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যই ৪০০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত তীব্র অনাবৃষ্টির শিকার হাওড়া জেলা। প্রখর রৌদ্রে জ্বলছে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। আমন ধান রোপণের কাজও ব্যাহত হয়েছে। তবু নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ হলে এবং সেই সঙ্গে জলাধারগুলি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে জল ছাড়া হলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আমতা ও উদয়নারায়ণপুর এলাকায়। সেই বিষয়টি বিলক্ষণ জানেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাই তিনি বিধায়ক অসিত মিত্রের বাঁধ সংস্কারের প্রস্তাবের উত্তরে বলেছিলেন যে প্রতি বছর বাঁধ ভাল করে বাঁধা হলেও ডিভিসির ছাড়া জলে বন্যা হয়। এবারেও সেচ দপ্তরের উদ্যোগে বর্ষার অনেক আগেই দামোদর নদের সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ভাল করে বাঁধানোর কাজ শেষ হয়েছে।
দামোদর, রামপুর খাল, লোয়ার রামপুর খাল, হুড়হুড়া–সহ বিভিন্ন খাল থেকে কচুরিপানা তুলে ফেলা হয়েছে। অতিবর্ষণ ও জলাধারের ছাড়া জলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিলেই বালির বস্তা দিয়ে নদী বাঁধ রক্ষা করার সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।