নায়কের নাম সের্খিয়ো আগুয়েরো। যার জোড়া গোলে রবিবার ডিন কোর্টে বোর্নমুথের বিরুদ্ধে জয় পেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আগের ম্যাচে টটেনহ্যামের সঙ্গে পয়েন্ট নষ্ট করেন পেপ গুয়ার্দিওলার ফুটবলারেরা। এই জয়ে ম্যান সিটি টেবলের দু’নম্বরে উঠল আর আর্জেন্টাইন তারকা তাঁর ফুটবল জীবনের চারশো নম্বর গোল করে ফেললেন। শুধু তাই নয়, আগুয়েরোর ইপিএলেও ১৬৮ গোল হয়ে গেল। সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় তিনি এখন ছ’নম্বরে।
ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটেই প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগেই এগিয়ে যায় সিটি। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি কেভিন ডি ব্রুইনে। পাশে থাকা আগুয়েরো বল ধরে প্লেসিং শটে লক্ষ্যে পাঠান। টানা তৃতীয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন আর্জেন্টাইন তারকা।
সের্খিও আগুয়েরোকে আগের ম্যাচে তুলে নেওয়ার সময় কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল। এ দিন সিটির হয়ে প্রথম গোলটি করেন আগুয়েরোই। ১৫ মিনিটে আগুয়েরোর গোলে ১-০ এগোনোর পর ৪৩ মিনিটে ২-০ করেন রহিম স্টার্লিং। তবে সিটিকে খুব স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি বোর্নমাউথ। বিরতির ঠিক আগে ইনজুরি টাইমে একটি গোল শোধ করেন উইলসন। বিরতির পর আরও একটি গোল আগুয়েরোর। এ দিন ম্যান সিটি জিতল ৩-১ গোলে। আগুয়েরো ছাড়া রাহিম স্টার্লিং গোল করলেন। বোর্নমুথের হ্যারি উইলসন একটি গোল শোধ করেন। ম্যান সিটির জয়ের দিন ধাক্কা খেল টটেনহ্যাম। তাদের ২-১ হরিয়ে দিল নিউক্যাসল।
৩৯তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় স্বাগতিকদের। ডিফেন্ডার নিকোলাসের ভুলে গোলমুখে বল পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি স্মিথ।চার মিনিট পর দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্টার্লিং। ছন্দে থাকা সিলভার রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে পেয়ে গোলরক্ষকের উপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ এই মিডফিল্ডার।