গুরুত্ব দেওয়া চলবে না অনিতা বসুর মন্তব্যকে। তাঁর দাবি ভিত্তিহীন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মেয়ে অনিতা বসু পাফের দাবি নস্যাৎ করে তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব না-দিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মুখার্জি কমিশনের মামলার আইনজীবী। শনিবারই নেতাজি সংক্রান্ত মামলার কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক অর্ডারের কপি-সহ প্রধানমন্ত্রীকে ই-মেল এবং পোস্ট মারফৎ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
১৯৯৭ সালে কলকাতা হাইকোর্টে নেতাজি মৃত না জীবিত তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অসীমকুমার গঙ্গোপাধ্যায়। পরের বছর হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রভাশঙ্কর মিশ্র এবং বিচারপতি বারিন ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। এর পরই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মনোজ মুখার্জিকে নিয়ে মুখার্জি কমিশন গঠন করা হয়। আইনজীবী অসীমকুমার প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে সেটারই উল্লেখ করে জানিয়েছেন, মুখার্জি কমিশন তাদের রিপোর্টে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম নেতাজির নয়। ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইহোকুতে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়নি। তাই অনিতা বসুর মন্তব্যকে যেন গুরুত্ব দেওয়া না হয়।
মুখার্জি কমিশনের এই রিপোর্ট সামনে আসার পর ২০০৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আর একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন অসীমকুমার। সেখানে তিনি আবেদন করেন, রেনকোজি মন্দিরের ওই চিতাভস্ম নেতাজির নয় জানার পরও তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থব্যয় করছে। জনগণের এই অর্থ অপচয় রুখতে আদালতের নির্দেশের আবেদন করেন তিনি। যদিও সেই মামলায় পরে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানায়, তারা এর জন্য আর কোনও অর্থ দিচ্ছেন না।