রাজ্যের সাধারণ জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন ‘দিদিকে বলো’। শনিবার এর প্রচারে গিয়ে অন্যরকম মেজাজেই দেখা গেল ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলকে। মাঠে নেমে কৃষকদের সঙ্গে রীতিমতো চাষের কাজে হাত লাগালেন তিনি। তারপর দলীয় কর্মীর মাটির ঘরে বসে পান্তা দিয়েই সারলেন মধ্যাহ্নভোজ। বিধায়ককে নিজেদের এত কাছাকাছি পেয়ে আপ্লুত এলাকার বাসিন্দারা।
এখন থেকেই ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। জনসংযোগ বাড়াতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছে শাসকদল। যে কোনও সমস্যায় এখন মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা মিলছে একটা ফোন করলেই। সেইসঙ্গে সরকারের কাজে কোথায় ফাঁকফোকর রয়ে গিয়েছে, কোথায় ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, জনগণের কাছ থেকে এসব খবর আদায় করতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছে দলের নেতাকর্মীরা।
শনিবার সকালে প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারেই নিজের বিধানসভা এলাকায় যান ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঢুকতেই কাদায় আটকে যায় গাড়ির চাকা। এরপর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পায়ে হেঁটেই এলাকায় ঢোকেন তিনি। ক্যানিং এক নম্বর ব্লকের হেড়োভাঙা এলাকায় পৌঁছতেই কৃষকদের সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েন শ্যামলবাবু। নিজের হাতে ধানের আঁটি নিয়ে তা জমিতে বসান অন্যান্য কৃষকদের সঙ্গে। এরপর এক দলীয় কর্মীর মাটির বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। সেখানেই পেঁয়াজ, লঙ্কা সহযোগে পান্তা দিয়েই সারেন মধ্যাহ্নভোজ। বিধায়ককে এত কাছে পেয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।
তাঁকে কাছে পেয়ে কেউ কেউ এলাকার সমস্যার কথা জানান। কেউ আবার প্রশংসা করেন রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের। সব সমস্যা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন শ্যামলবাবু। শনিবারই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারের প্রথম দিন ছিল শ্যামলবাবুর। এদিন রাতে দলের এক কর্মীর বাড়িতে থাকবেন বিধায়ক। আজ আরও এক দফা প্রচার সারবেন শ্যামলবাবু। তারপর সেই অভাব অভিযোগ পৌঁছে দেবেন নবান্নতে সরাসরি দিদির কাছে।