মঙ্গলবার দীঘাশ্রী-বাংলা কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই অনুষ্ঠানেই মমতা জানান আগামী ডিসেম্বরে এখানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন৷
দেশী -বিদেশী পর্যটকদের কাছে দীঘাকে তুলে ধরতে অভিনব ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মূলত এশীয় দেশের বণিকসভাগুলিকে এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার দীঘা থেকে কলকাতা ফেরার আগে তিনি জানান, এই বছর যেহেতু কলকাতায় বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে না, সেই জন্য দীঘার পর্যটন শিল্পের কথা ভেবে ডিসেম্বরে করা হয়েছে। ৯-১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সেটি হবে।
রেকর্ড টুরিস্ট আসছে দেশের নানা প্রান্ত থেকে। বিদেশী পর্যটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নতুন করে ৬৫টি হোটেল হচ্ছে। সেগুলি সবই স্টার হোটেল। ঠিক সেই সময় অত্যাধুনিক বিজনেস কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন হল। এমন সেন্টার কলকাতা বাদ দিলে পূর্ব ভারতে আর কোথাও নেই। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা হেলিকপ্টার সার্ভিস চালু করার। সি-প্লেন সমুদ্রে নামানোর কথাও তিনি বলেছেন। দীঘার কাছে ছোট বিমানবন্দর করা যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন একটি সময়ে দীঘাকে বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরতে তিনি এই কনভেনশন সেন্টারে বাণিজ্য সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
ইতিমধ্যে সৈকত বাণিজ্য ও পর্যটনে এশিয়ার অনেক দেশ দারুণ সাফল্য পেয়েছে। তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, বিরাট বাণিজ্যক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। এই সুযোগকে দীঘায় কাজে লাগাতে মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন। পাশাপাশি দীঘার সৌন্দর্যায়নে আরও জোর দিয়েছেন তিনি। সাত কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের মাধ্যমে মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর, উদয়পুর সৈকত যুক্ত হবে দীঘার সঙ্গে।
দীঘার কাছেই রয়েছে শিল্পনগরী হলদিয়া। বিপুল লগ্মি হচ্ছে সেখানে। রয়েছে বন্দরও। ফলে দীঘায় বাণিজ্য সম্মেলনে হলদিয়ারও খুব লাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মমতার স্বপ্ন দীঘা কেবল পর্যটকদের ঠিকানা হয়ে থাকবে না। ঠিকানা হবে দেশ-বিদেশের নামিদামি সংস্থাগুলিরও। গোয়ার মতো তারাও দীঘাতে আসবে বাণিজ্যিক সম্মেলন করতে। তাই ‘ডেসটিনেশন দীঘা’প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দীঘাশ্রী-বাংলা কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানান তৃণমূল নেত্রী।
একইসঙ্গে দীঘাকে ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সমুদ্রতটের পাশেই পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ পাশাপাশি থাকবে মসজিদ এবং গির্জাও৷