রোমাঞ্চকর ড্রয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেল স্পেন। বাঁচা-মরার ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল মরক্কোই; কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বদলি হিসেবে মাঠে নামা ইগো আসপাস। অবশ্য গোলটি নিয়ে দারুণ নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়। সহকারী রেফারি অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিলে রেফারি প্রথমে সেটি বাতিল করেন; কিন্তু স্পেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তায় দেখা যায় আসপাস অফসাইডে ছিলেন না। গোল পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন স্পেন খেলোয়াড়রা। স্টেডিয়ামে সমর্থকরাও সেই আনন্দে শামিল হন। ম্যাচটি হেরে গেলে ইরান চলে যেত দ্বিতীয় রাউন্ডে। কারণ পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করে এক পা শেষ ষোলোয় দিয়ে রেখেছিল এশিয়ার এই দলটি।
ড্র করেও ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পেল ইনিয়েস্তা-পিকেরা। কারণ গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইরানের সঙ্গে পর্তুগাল ড্র করায় স্পেন-পর্তুগালের পয়েন্ট হয় সমান ৫; কিন্তু প্রতিপক্ষের জালে বেশি গোল পোরায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিলেও অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়েছে মরক্কো। আগের দুই ম্যাচে হারলেও স্পেনের সঙ্গে ড্র করে ১ পয়েন্ট তুলে রাশিয়া বিশ্বকাপকে বিদায় জানায় দলটি।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুদল। ম্যাচের ১৪ মিনিটে খালিদ বোতালিবের গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো (১-০)। মিনিটপাঁচেক পরেই ইসকোর গোলে সমতায় ফেরে স্পেন (১-১)। প্রথমার্ধে সমতায় থেকে বিশ্রামে যায় দুদল। দ্বিতীয়ার্ধেও চলে আক্রমণ-পাল্টাআক্রমণের ঘটনা। ৮১ মিনিটে দারুণ এক হেডে ইউসেফ নাসেরি মরক্কোকে ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে নেন। পরে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে গিয়ে স্পেনকে সমতায় ফেরান আসপাস (২-২)। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোলের ঘটনা না ঘটায় ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুদল।