শৈশবের নস্টালজিয়া। ভূত আর রহস্যে অনীহা এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া সমস্যা৷ লীলা মজুমদার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের, শরদিন্দুর ভূতের গল্পমাখা দিন কাটায়নি এমন বাঙালিও হাতে গোনা। এবার এমন এক নস্ট্যালজিয়াকে চাগাড় দিতেই পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল ফেঁদে ফেললেন আদ্যোপান্ত এক বাঙালি ভূতের গল্প। বলা ভালো ভূতের বায়োগ্রাফি।
পরিচালকের কথায়, এই গল্প সমনামবুলিজমে (ঘুমের মধ্যে হাঁটাচলা) আক্রান্ত এক বাচ্চা এবং এক মহিলা ভূতের। মহিলাটির মৃত্যু হয়েছে ১৯৪৭ সালে। হঠাৎই বাচ্চাটির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। তবে এবারের প্রেক্ষাপটটা ২০১৯। সে এখন ‘ভূত পরী’। এই বাচ্চাটির সাহায্যেই সে জানতে পারে তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না, খুন হতে হয়েছে তাঁকে।
ভূত পরী’র চরিত্রে জয়া আহসান। বাচ্চাটির চরিত্রে দেখা যাবে নয় বছরের এক বাচ্চাকে। যার নাম বিষান্তক মুখোপাধ্যায়। আরও তিন গুরুত্বপূ্র্ণ চরিত্রে রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী এবং শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। ‘ভূত পরী’তে এক চোরের ভূমিকায় থাকছেন ঋত্বিক। অন্যদিকে, ‘ভূত পরী’র রহস্যজনক খুনের কিনারা করা খুদে গোয়েন্দার মায়ের ভূমিকায় থাকছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়কে দেখা যাবে এক সাধুর চরিত্রে।
ভূত পরী’র শুটিং শুরু হচ্ছে ২৬ আগস্ট মানে আগামী সোমবার থেকে। সৌকর্যের কথায়, “বহুদিন থেকেই একটা ভূতুড়ে ছবি করার কথা ছিল। আসলে আমরা যে ধরনের হরর জঁরের ছবি এখন দেখি সেগুলো আমার কাছে পাশ্চাত্য-ঘেঁষা ঠেকে। একটা জীবিত মানুষের মধ্যে যেমন রাগ, অভিমান, দুঃখ কিংবা সততা থাকে, ঠিক সেরকমই একটা ভূতের জীবনী নিয়ে ‘ভূত পরী’। ভূতুড়ে ছবি নিয়ে সাধারণত একটা ধারণা রয়েছে যে হরর ঘরানা মানেই দুটো ভাগ। হয় তাঁর মধ্যে কৌতুকরস থাকবে নাহলে ভূত ভয় দেখায়। কিন্তু ভূতের মানবিক দিকটা কখনও দেখানো হয় না। সেখানেই ‘ভূত পরী’। একটু রহস্য, একটু ট্রেজার হান্ট সবই থাকছে ছবিতে।” এককথায় আদ্যোপান্ত বাঙালি ভূতের গল্প ‘ভূত পরী’।